• কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় মালদহে অসমাপ্ত জলস্বপ্নের ২৭ প্রকল্প
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: মালদহ জেলার জলস্বপ্ন প্রকল্পের ২৭ টি কাজ, একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পঞ্চায়েত দপ্তরের একটি রাস্তা নির্মাণ অবিলম্বে শেষ করতে হবে। সাতদিনের মধ্যে শুরু করতে হবে কাজ। বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমন্বয় প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক প্রকল্পের মনিটরিং করি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ঘোষিত মোট ৩ হাজার ৮৬৯ টি প্রকল্পের মধ্যে ৩ হাজার ১৮৩ টির কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ ৮২.৩ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ। চারটি প্রকল্প এখনও শুরু করা হয়নি। তারমধ্যে মালদহ জেলায় একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, পঞ্চায়েত দপ্তরের একটি রাস্তা রয়েছে। 

    মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ৫৯২ টি প্রকল্প সময়ে শেষ করা যায়নি। যা প্রায় ১৫.৩ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের। অনেক জায়গায় ইঞ্জিনিয়াররা পাইপ ফেলার আগে দেখেন না সেখানে জল পাওয়া যাবে কিনা। সয়েল টেস্ট না করেই পাইপ ফেলতে শুরু করেন। এবাবে পাইপ ফেললে জল পৌঁছনোর দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। 

    এদিনের সভা থেকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুরেন্দ্র গুপ্তাকে অবিলম্বে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন মালদহ জেলার জলস্বপ্ন প্রকল্পের অসমাপ্ত যে ২৭ টি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ২৭ টি কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র গত আট মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। এদিকে কেন্দ্রের বরাদ্দ না আসায় রাজ্য সরকার নিজেদের অংশের টাকা দিতে পারছে না। তার জন্য ঢিমেতালে কাজ চলছে।

    মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান, ফান্ড নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। 

    প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে ২৩২ টি জমি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এখন একশো শতাংশ জমির সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে। 

    এছাড়াও গাজোলের মহাকল্পনায় একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হওয়ার কথা। ওয়ার্ক অর্ডার হলেও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছিল না। যার ফলে কাজ শুরু করতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলাশাসকের উদ্যোগে লাগাতার বৈঠক করে গত সপ্তাহে একটি জমি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেখানে গার্ডওয়াল তৈরি না করলে কাজ শুরু করা যাবে না। জেলা পরিষদের ফান্ড থেকে গার্ডওয়াল করা হচ্ছে। বুধবার জেলাশাসক বলেন, সাতদিনের মধ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির বেসিক কাজ শুরু করে দিতে পারব। 

    অন্যদিকে, গাজোল ব্লকে ডব্লিউবিএসআরডিএ (ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) এর অধীনে পাঁচ কোটি টাকার একটি রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু বারবার টেন্ডার ডাকা সত্ত্বেও ম্যাচিওর না হওয়ায়  কাজটি করা যাচ্ছে না। 

    এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফিল্ড ইন্সপেকশন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া অসম্পূর্ণ কাজের তালিকা বিডিওদের কাছে রাখার কথা বলেছেন তিনি।  মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সভায় মালদহের প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।- নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)