• বেলডাঙায় কাশ্মীরি আপেল ফলাচ্ছেন স্কুলশিক্ষক রূপেশ
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: উষ্ণ ক্রান্তিয় জলবায়ুর বেলডাঙার মাটিতে টানা তিন বছর ধরে আপেল ফলিয়ে অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছেন স্কুলশিক্ষক রূপেশ দাস। রূপেশবাবুর বাগানে হিমাচল প্রদেশের তিন প্রজাতির আপেল গাছ রয়েছে। সব থেকে বেশি সুস্বাদু দোসের গোল্ডেন প্রজাতির আপেল। তবে ফলের আকৃতির দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে এনা প্রজাতির আপেল। রূপেশবাবুর অভিজ্ঞতায় এইচআরএম-৯৯ প্রজাতির আপেল গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সব থেকে কম। এবার বাগানের ছ’টি গাছের পাঁচটিতে ৪০-৪৫টি করে ফল এসেছে। বেলডাঙা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাছাড়িপাড়ায় বাড়ি সংলগ্ন দেড় কাঠা বাগানে আপেল দেখতে রোজ শ'য়ে শ'য়ে লোক জমছে। চার বছর আগে হিমাচলের একটি ফার্ম থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ১০টি আপেল গাছের চারা আনিয়ে ছিলেন।  

    বেলডাঙা পূর্ব চক্রের ন’পুকুড়িয়া নতুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক রূপেশবাবু বলেন, প্রথম এক বছর আপেল গাছের পরিচর্যা করতে হয়। বিশেষ করে শিকড়ের যত্ন নিতে হয়। কারণ আপেল গাছের শিকড় মিষ্টি স্বাদের হয়। উইপোকার আক্রমণ বেশি হয়। এবার হিমাচলের এক আপেল চাষির সঙ্গে কথা বলে নিউটেশন ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে সুফল পেয়েছি। গাছের পরিচর্যায় জলের উপর বিশেষ নজর দিতে হয়। উষ্ণ ক্রান্তিয় জলবায়ুতে আপেল চাষ সম্ভব নয়, এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন রূপেশবাবু। চার বছর বয়সের গাছগুলির উচ্চতা এখন ১০ ফুট ছাড়িয়েছে। এক বছর পর থেকেই প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে। গত বছর তিনি ফুল আসার সময় থেকেই পরিচর্যায় মন দিয়েছিলেন। এবার নিউট্রেশন ম্যানেজমেন্ট ও পিআরজি স্প্রে করে অভাবনীয় ফল পেয়েছেন। স্কুল শিক্ষককে বাগান পরিচর্যায় সহযোগিতা করেন তাঁর স্ত্রী রাজশ্রীদেবী। রাজশ্রীদেবী বলেন, কাশ্মীর, হিমাচলের আপেল গাছ দেখার স্বপ্ন পুষে রেখেছিলাম। স্বামীর শখে আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আপেল গাছের পরিচর্যার অন্যতম হল জলসেচ। গাছের গোড়া যাতে শুকিয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হয়। পাশাপাশি গোড়ায় যাতে জল না জমে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। আপেল চাষে আগ্রহীদের উদ্দ্যেশ্য এমনই পরামর্শ দিলেন রূপেশবাবু।  স্কুল শিক্ষকের বিদেশি ফল ও ফুলের বাগানের শখ দীর্ঘদিনের। আপেলের পাশাপাশি বাগানে রয়েছে পিচ, পার্সিমান(জাপানের জাতীয় ফল), আফ্রিকট। নিজের শখের বাগানে জাফরানও(কেশর) ফলিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)