• কর্মী কম থাকলেও আমরা মানুষকে পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর: বেচারাম
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সব জায়গায় কর্মী কম। হাইকোর্টে মামলা করে বিরোধীরা চাকরি খেয়েছে। আবার ওবিসি মামলা করে চাকরি দিতেও দিচ্ছে না। তাও আমাদের আন্তরিকভাবে মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারি আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বুধবার বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় তিনি হাজির হয়েছিলেন। এই সভা থেকে আগামীর প্রকল্প রূপায়ণ এবং গ্রামীণ এলাকায় নির্মল বাংলা মিশনে আরও কী কী কাজ সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সেই দিশা দেখালেন। 

    এদিন ওই সভা চলাকালীন বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কর্মী সঙ্কটের জন্য কাজের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেই সমস্যার কথা মন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে শোনেন। পরে তিনি বলেন, সব জায়গায় কর্মী কম। রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে ৩৮ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৫ শতাংশ এবং জেলা পরিষদে ৫৮ শতাংশ কর্মী কম রয়েছে। আজ মামলা না হলে বহু ছেলেকে চাকরি দিতে পারতাম। লোক না থাকলেও কাজ করতে হবে। মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে হবে। 

    এদিনের সভা থেকে মন্ত্রী জল অপচয়ের বার্তাও দেন। দূষিত জলকে দূষণমুক্ত করে কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তার উদাহরণ তুলে ধরে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। বেচারামবাবু বলেন, সকলকে গ্রামে যেতে হবে। তাহলে মানুষ অনুপ্রাণিত হবে। পঞ্চায়েতস্তরে সচেতনতা শিবির করতে হবে। জনপ্রতিনিধি ও আমলারা রাস্তায় নেমে কাজ করলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। এই কাজ নিয়ে অনেকেই টন্ড-টিটকারি করবে। কিন্তু, ভালো কাজ করতে গেলে রাস্তায় নামতে হবে। প্রয়োজন হলে কর্মসূচি নিন, আমি হাজির হব। রাস্তায় নেমে প্লাস্টিক কুড়িয়ে এক জায়গায় জড়ো করব। জনপ্রতিনিধিরা যত সচেতনতার কাজ করবে, ততই আগামী প্রজন্মের মানুষকেও সচেতন করা যাবে। আবর্জনা বস্তাবন্দি হলে রোগকেও বস্তাবন্দি করতে পারব।

    সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিদিন বহু জল নষ্ট করছি। চাষের কাজে জল নষ্ট হচ্ছে, আবার প্রতিদিনের ব্যবহার যোগ্য জল অপচয় হচ্ছে, এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা দু’টি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছি। তৃতীয় যে বিশ্বযুদ্ধ হবে, সেটা পানীয় জল নিয়ে হবে। আগে ৯০ ফুট নীচে পাইপ পোঁতা হলে জল পাওয়া যেত। এখন ২২০-২৩০ ফুট পাইপ বসাতে হচ্ছে। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।  পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত মন্ত্রী বেচারাম মান্না। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)