বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়ায় বাবা শান্তিনাথ শিবের গাজন ঘিরে উন্মাদনা স্থানীয়দের
বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়ায় বাবা শান্তিনাথ শিবের গাজন উপলক্ষ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। গত ১৫বৈশাখ গাজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বুধবার থেকে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাজন পুরোদমে শুরু হয়। আটদিন ধরে তা চলবে। প্রতিদিনই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এছাড়াও আগামী সোমবার রাতগাজন ও মঙ্গলবার দিনগাজনের উৎসব পালিত হবে।
গাজন কমিটির সভাপতি সাধনচন্দ্র কাপড়ি বলেন, আমাদের গাজন ১২বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার নানা কারণে ১৫বছর ছাড়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫বৈশাখ যাগযজ্ঞের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ধর্মীয় নানা আচার পালন হয়েছে। বুধবার থেকে তা পুরোদমে শুরু হয়েছে। অনেকেই ভক্তে হয়েছেন। আগামী আটদিন ধরে গাজন চলবে।
গাজন কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গল অধ্যুষিত বেলশুলিয়া গ্রামে শান্তিনাথ শিবের মন্দির রয়েছে। ১৫০ বছরেরও প্রাচীন ওই মন্দিরে সেখানে নিত্য পুজো হয়। প্রতি ১২বছর অন্তর ধুমধাম করে গাজন উৎসব হয়। ২১মে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে গাজনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্র পরপর দু’দিন যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে। শনিবার স্থানীয় বনগেলিয়া এলাকায় বৃক্ষছেদন উৎসব হবে। রবিবার রাজাভাটা, সোমবার রাতগাজন এবং মঙ্গলবার দিনগাজন অনুষ্ঠিত হবে। দিনগাজনের দিন হিন্দোল উৎসব এবং আগুন সন্ন্যাসী অনুষ্ঠান হবে। এছাড়াও প্রতিদিনই সন্ধ্যায় বিচিত্রানুষ্ঠান হবে। বুধবার আঁশপান্না উৎসবের মাধ্যমে গাজন শেষ হবে।
কমিটির সদস্যরা বলেন, গাজনে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেহর পুকুর থেকে সন্ন্যাসীরা প্রণাম খেটে বাবার থানে আসবেন। রাত গাজনের দিন হিন্দোল উৎসবে চড়ক পুজো হবে। সব মিলিয়ে ১৫বছর পর বাবার গাজন উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।