জেলার দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতি শুরু করে দিল সেচদপ্তর
বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: বিগত বর্ষায় জলস্ফীতির জেরে একাধিক নদনদীর পাড় ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই এবছর বর্ষার আগেই সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত পাড় ও বাঁধ মেরামতিতে জোর দিয়েছে জেলা সেচদপ্তর। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা খরচে সেচদপ্তরের ময়ূরাক্ষী হেড কোয়ার্টারের আওতাধীন এলাকাজুড়ে এই সংস্কার চলবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে কাজে গতিও এসেছে। বাকি কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। তবে, বর্ষা শুরুর আগেই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত পাড় ও বাঁধ সংস্কার শেষ করতে চাইছে সেচদপ্তর। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিগত বর্ষায় ময়ূরাক্ষী সহ দ্বারকা এবং কুয়ে নদীর বেশকিছু অংশের পাড় ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবছর বর্ষা আগেই সেসব সংস্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত ওই সংস্কার শেষ করা হবে। অন্যদিকে, বর্ষার মরশুমে যে কোনওরকম প্রতিকূলতার মোকাবিলায় প্রস্ততি নেওয়া শুরু হয়েছে। ভরা বর্ষায় ময়ূরাক্ষী ফুলেফেঁপে ওঠে। সেইসঙ্গে দ্বারকা ও কুয়ে নদীতেও জলস্ফীতি লক্ষ্য করা যায়। গত বছর বর্ষায় এই তিনটি নদীতে জলস্ফীতির জেরে বেশকিছু জায়গায় পাড় ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বর্ষা শেষ হতেই সেচদপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ চিহ্নিত করা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে সংস্কারের কাজের টেন্ডার করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকে তালতলা থেকে শালকি পর্যন্ত এবং সাঁইথিয়ায় রোড রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে সাওগ্রাম পর্যন্ত বেশকিছু অংশে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম গামিনী এলাকায় দ্বারকা এবং ইন্দাস ও থিবা পঞ্চায়েত এলাকায় কুয়ে নদীর পাড় ও বাঁধের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ১৫ জুনের আগেই জেলায় বর্ষা ঢুকতে পারে। ফলে ময়ূরাক্ষী সহ দ্বারকা ও কুয়ের ক্ষতিগ্রস্ত পাড় এবং বাঁধকে কেন্দ্র করে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, সেচদপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও পাড় দ্রুত সংস্কার শুরু করায় মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে। অন্যদিকে, বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সেচদপ্তর আগাম সতর্কতাও অবলম্বন করছে। দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, নিচু বাঁধ উপচে যাতে কোনও এলাকায় জল ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি ভরা বর্ষায় কোনও ক্ষেত্রে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী কী করণীয় তা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে বাঁধের দেখভালে বস্তা সহ বাঁশ, বালি ও মাটি মজুত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ১৫ জুনের মধ্যে সেসব মজুতের নির্দেশ জারি হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র