• বিষ্ণুপুর শহরে পাঁচিল ভাঙা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা, বুলডোজারের সামনে বাধা
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বুধবার বিষ্ণুপুর শহরের পুলিস চৌকি এলাকায় পুরসভার তরফে একটি পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এক ব্যক্তি পাঁচিল ভাঙার কাজে বাধা দেন। পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে তাঁর তুমুল বাক বিতণ্ডা হয়। ওই ব্যক্তি আদালতের স্থাগিতাদেশের একটি কাগজ নিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে যান। এই ঘটনায় এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে অবশ্য পুরসভা কর্তৃপক্ষ পাঁচিল ভেঙে দেয়। বিষ্ণুপুর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার তারাশঙ্কর ঘোষ বলেন, সরকারি জায়গায় থাকা পাঁচিলটি ভাঙা হয়েছে। এক ব্যক্তি অন্যায়ভাবে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের পুলিস চৌকি এলাকায় রাস্তার ধারের একটি জায়গা এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রয়েছেন। তিনি রাস্তার ধারে সরকারি জায়গায় পাঁচিল দিয়ে পুরো জমিটিকে ঘিরে দেন। জমির মালিক বাধা দিতে গেলে তাঁকে ওই ব্যক্তি তাড়িয়ে দেন। তারপরেই জমির মালিক পুরসভার দ্বারস্থ হন। পুরসভা এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। সেই মতো এদিন পাঁচিল ভাঙতে এলে ওই ব্যক্তি বাধা দেন। বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে যান। তাঁকে সরাতে গেলে স্থানীয় ১৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিদ্ধার্থ নাগের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়। 

    জমির মালকিন বলেন, স্বামী আমার নামে তিনকাঠা জমি কিনেছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর ওই জমি জোর করে দখল নিয়ে নেয়। তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চেয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুরকর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে।

    স্থানীয় কাউন্সিলার সিদ্ধার্থবাবু বলেন, জমির কাগজ যাঁর নামে তাঁকে হটিয়ে এক ব্যক্তি জোর করে দখল নিয়েছিলেন। তাঁকে পুরসভায় ডেকে জমি ফেরানোর কথা বলা হলেও তিনি শোনেননি। সেই জন্য আইন অনুযায়ী আসল মালিককে জমির দখল নিতে সাহায্য করা হয়েছে। তার জন্য সরকারি জায়গায় তোলা পাঁচিল ভাঙা হয়েছে।

    পাঁচিল ভাঙতে বাধা দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, আমার বাড়ি লাগোয়া জায়গার রেকর্ড অন্যের নামে থাকলেও আমি তা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। তাই সেখানে আমিই পাঁচিল দিয়েছি। পুর কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক পাঁচিল ভাঙতে এলে আমি বাধা দিই। তারপরেও পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)