• বারুইপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে খোলা মাত্র একটি কাউন্টার, বন্ধ সকাল ১০টাতেই
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: প্ল্যাটফর্মে চার-চারটি টিকিট কাউন্টার। কিন্তু খোলা থাকে মাত্র একটি। আর সেটিও সকাল ১০টার পর যায় বন্ধ হয়ে। ফলে নিত্যদিন যাত্রীদের পড়তে হয় প্রবল সমস্যায়। স্টেশনের বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটার ব্যবস্থা আছে। সেই দোকানগুলির আঙুল ফুলে কলাগাছ। যাত্রীদের বক্তব্য, বেসরকারি বিক্রেতাদের সুবিধে করে দিতেই কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়। এই পিছনে রয়েছে শক্তিশালী অসাধু চক্র।

    শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল বারুইপুর। প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের মতো মানুষ যাতায়াত করেন। সদাব্যস্ত এরকম একটি স্টেশনেরই এরকম বেহাল অবস্থা। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে চারটি টিকিট কাউন্টারের একটি খোলা থাকে বলে যাত্রীদের লাইন টপকে যেতে হয় এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে। রেললাইনে পাথর ছড়ানো। সর্বদা হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা। যে কোনও সময় ট্রেন চলে আসতে পারে। ফলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে টিকিট কাটতে যেতে হয় যাত্রীদের। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। তবে এই অব্যবস্থা দেখেও দেখে না রেল কর্তৃপক্ষ বলে সব যাত্রীর অভিযোগ। স্টেশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘লোক নেই। তাই সব কাউন্টার খোলা যায় না।’ পূর্বরেলের জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে দীপ্তিময় দত্ত বলেছেন, ‘বিষয়টি দেখছি।’

    স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টারের পাশাপাশি চারটি অটোমেটিক টিকিট কাটার মেশিনও আছে। কিন্তু তার মধ্যে দু’টি মাত্র চলে। বাকি দু’টি অকেজো। সম্প্রতি রেললাইন উঁচু করার জন্য পাথর রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। নিত্যযাত্রীরা বলেন, ‘চারটি কাউন্টার। কিন্তু খোলা মাত্র একটি! অফিস টাইমে লম্বা লাইন হয়। প্রায় সময়ই নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হয় রেলকর্মীদের। লম্বা লাইন থাকলেও অন্য কাউন্টারগুলি খোলা হয় না।’ অনেকের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘কর্মী অপ্রতুল বলে কাউন্টার বন্ধ রাখা হয় এমন নয়। স্টেশনের বাইরে বেসরকারিভাবে টিকিট বিক্রি হয়। সেখানে অতিরিক্ত দু’টাকা দিয়ে কাটতে হয় টিকিট। স্টেশনের সরকারি কাউন্টার বন্ধ রেখে ঘুরপথে বেসরকারি বিক্রেতাদের রোজগারের সুযোগ করে দেওয়া চলছে। এই কাজে জড়িয়ে অসাধু চক্র।’ অভয় সরকার নামে এক প্রবীন যাত্রী বলেন, ‘টিকিট চেক করার জন্য পরীক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে স্টেশনে। কিন্তু টিকিট কাউন্টার বন্ধ রেখে টিকিট না দিয়ে মানুষকে হয়রান করছে রেল।’ যাত্রীদের দাবি, ‘অবিলম্বে সব কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা করতে হবে রেলকে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)