নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবল বৃষ্টি, তার সঙ্গে দোসর ঝোড়ো হাওয়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বুধবার রাতে বিপর্যস্ত কলকাতা শহর ও আশপাশের এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বৃষ্টি। অল্প সময়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় দমদম ও পাতিপুকুর আন্ডারপাস। বরানগর, দমদম সহ শহরতলির বিভিন্ন পুরসভার নিচু এলাকায় জল জমে যায়। তবে রাতে বৃষ্টি কমতেই ধীরে ধীরে জল নেমে যায়। হাওড়াতে রাত ন’টা নাগাদ আচমকা ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। তারপরেই একনাগাড়ে মুষলধারায় বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে হাওড়ার ফরশোর রোড, শিবপুর, পঞ্চাননতলার কিছু অংশে রাস্তায় জল জমে। বারাসত, মধ্যমগ্রাম ও বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বারাসত শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, ভাঙ্গড়, জয়নগর, রায়দিঘি, মন্দির বাজার, মথুরাপুরেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।
হুগলির ব্যান্ডেলে বনমসজিদ এলাকায় ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভেঙে একটি মাদ্রাসার ঘরের উপর পড়ে। ওই ঘরে আটকে পড়েন দুই মহিলা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল কর্মীরা দুই মহিলাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলা মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দমকলকে খবর দিলে তাঁরা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এদিন ঝড়বৃষ্টির দাপটে চুঁচুড়ার একাধিক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙেছে।
এদিকে, বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের জেরে বিপত্তি ঘটল মুুর্শিদাবাদের রেজিনগরে। এদিন রাতে দুর্যোগ চলাকালীন শিয়ালদহ-লালগোলা ফাস্ট মেমু স্পেশ্যালের ওভারহেড তারে আগুন লেগে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেজিনগরের জানপুরে ১০৫ নম্বর রেলগেটের কাছে বজ্রপাতের ফলে লাইনের ধারের একটি গাছে আগুন লাগে। সেই অগ্নিদগ্ধ গাছ ট্রেনটির ঠিক উপরে ইলেকট্রিক তারের উপর এসে পড়ে। ট্রেনের বিদ্যুত্ বিভ্রাট দেখা দেয়। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।