• ১০ বছর পর নিকাশিতে নজর পুরসভার শুরু হবে রসভরা ও সাঁকোমোড় খাল সংস্কার
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চুঁচুড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আউটলেট হল রসভরা খাল ও সাঁকোমোড় খাল। প্রায় দশ বছর ধরে খাল দু’টি সংস্কার হয়নি। এর জেরে শহরের প্রায় অর্ধেক এলাকার নিকাশি নিয়ে তৈরি হয় সঙ্কট। শহরের একাধিক জায়গায় দু’ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। পাশাপাশি শহরের নালাগুলির জল পরিবহণ ক্ষমতাও গিয়েছে কমে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রসভরা ও সাঁকোমোড় খাল সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। বর্ষার আগে খালে জমে থাকা আড়াই ফুট পর্যন্ত পলি তুলে ফেলার পরিকল্পনা হয়েছে।

    কেএমডিএ’য়ের তত্ত্বাবধানে চুঁচুড়া পুরসভা মে মাসের শেষ থেকে পলি তোলার কাজে নামবে। ইতিমধ্যেই এলাকা জরিপ হয়েছে। মেশিন আনা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, খাল দু’টি সংস্কার হলে সরাসরি শহরের সাতটি ওয়ার্ড উপকৃত হবে। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে আরও চারটি ওয়ার্ড এবং ব্যান্ডেলের বিরাট এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা এক ধাক্কায় অনেক উন্নত হবে। 

    চুঁচুড়ার ব্যান্ডেল চার্চ লাগোয়া রসভরা খাল সরাসরি গঙ্গায় মিশেছে। তা থেকে পলি সরানো হলে গঙ্গাপাড়ের সমস্ত এলাকায় নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘শহরের নিকাশি সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে এটি একটি মাস্টার প্ল্যানের সমতুল্য পরিকল্পনা। দু’টি খালই দীর্ঘবছর ধরে সংস্কার হয়নি। অথচ শহরের অর্ধেক এলাকার নিকাশি নালার মূল আউটলেট ওই খাল দু’টি। কেএমডিএয়ের তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ হবে। তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুরসভার নিজস্ব প্রাত্যহিক সংস্কার কাজের মাধ্যমে আরও কিছু পলি তুলে ফেলা হবে।’ চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, ‘আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ। যত দ্রুত সম্ভব কাজে নামা হবে। বর্ষা আসার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আড়াই ফুট পর্যন্ত পলি বা কাদা তুললে নাব্যতা অন্তত ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে শহরের অর্ধেক এলাকার নিকাশির হাল যাবে বদলে।’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকোমোড় খাল শহরের কাজিপাড়া এলাকায়। আর রসভরা খাল ব্যান্ডেল চার্চ লাগোয়া এলাকায়। রসভরা খাল সরাসরি শহরের চার, পাঁচ, সাত, আট ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। সাঁকোমোড় ২৮, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জল বের হওয়ার অন্যতম পথ। প্রায় দশবছর ধরে পলি জমে যাওয়ার কারণে শহরের বড় অংশের নিকাশিতে সমস্যা 

    হচ্ছিল।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)