বাংলার বাড়ির টাকা দিয়ে কথা রেখেছেন মমতা, প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে রাজ্যে কেন? প্রশ্ন তৃণমূল নেতাদের
বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বঞ্চনা বনাম বাস্তবায়ন। প্রতিশ্রুতি বনাম কথা রাখা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে বাংলার তৃণমূলের সরকারের মৌলিক পার্থক্যটা কোথায়, সেই ব্যাখ্যাটাই তুলে ধরলেন জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। সেখানে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কথা দিয়ে কথা রাখছেন। অথচ কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাংলার প্রতি বাড়ছে বঞ্চনার পরিধি।
বাংলার প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা অব্যাহত। ১০০ দিনের কাজ, আবাস, গ্রাম সড়ক সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য অর্থ বাংলাকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার উপরে বাংলার প্রাপ্য বলে দাবি। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলা সফরে আসছেন, তখন আর্থিক বঞ্চনার বিষয়টি ফের তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়িয়েছে জোড়াফুল শিবির। আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা সভার মাঠ পরিদর্শন ও সভা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন। এই আবহে বুধবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে বক্তব্য রাখলেন।
তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক’টি কথা দিয়েছিলেন। তার সবক’টি পূরণ করেছেন। এর সর্বশেষ উদাহরণ বাংলার বাড়ি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ লক্ষ পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আগে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল, এবার আরও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হল। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আর্থিক বঞ্চনাকে অব্যাহত রেখে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে। কুণালের সংযোজন, ভোট এলেই বিজেপি নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জার হন। রাজনৈতিক পর্যটক হয়ে আসেন। এখন নরেন্দ্র মোদি আসছেন, কিন্তু তিনি খালি হাতে আসবেন কেন? বাংলার প্রাপ্য টাকা কোথায়? পাশাপাশি শশী পাঁজা ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি। প্রতিশ্রুতি পূরণ করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির গ্যারান্টি মানেই শূন্য।