উচ্চ মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণদের একাদশ থেকে নতুন স্ট্রিম নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ
বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের গোড়া থেকে, নতুন স্ট্রিম এবং বিষয়বিন্যাস নিয়ে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে সংসদ। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দ্বাদশে অনুত্তীর্ণরা কন্টিনিউইং ক্যান্ডিডেট (সিসি) হিসেবে যেমন পরের বছর ফেল করা বিষয়গুলিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন, তেমনই চাইলে একাদশ শ্রেণি থেকে নতুন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন। এর পাশাপাশি, সেমেস্টার পদ্ধতির নয়া সিলেবাসে দ্বাদশের পুরো ক্লাস করেও নতুন করে উচ্চ মাধ্যমিক দিতে পারবেন। বর্তমানে যাঁরা পুরনো পদ্ধতির একাদশ শ্রেণিতে অনুত্তীর্ণ, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে। তাঁদের প্রথম থেকেই একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা করতে হবে। আর সেটা নয়া সেমেস্টার পদ্ধতিতেই। এর পাশাপাশি যাঁরা পুরনো পদ্ধতির একাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে বসেননি বা পাশ করেননি, তাঁরা চাইলে ফের একাদশ শ্রেণি থেকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে আসার সুযোগ পাবেন। তবে, পুরনো পদ্ধতি থেকে যাওয়ার বিকল্পও তাঁদের কাছে থাকছে। এই সুযোগ শুধুমাত্র এ বছরেই দেওয়া হচ্ছে। আরও বেশি ছাত্রছাত্রী যাতে নয়া সেমেস্টার পদ্ধতির সুযোগ পান, তাই এই ব্যবস্থা।
এর জন্য ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের মাধ্যমে কাউন্সিলের নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করতে হবে ২ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে। ২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংসদ জানিয়েছিল, একাদশে উত্তীর্ণ অথচ টেস্ট বা উচ্চ মাধ্যমিকে না বসা ছাত্রছাত্রীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে। এর জন্য অপশন ফর্মও দেওয়া হয়। তবে, ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আবেদনের সংখ্যা ১০০-র আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণের সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার। পুরনো পদ্ধতির একাদশে অনুত্তীর্ণ বা উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে না বসা পড়ুয়ার সংখ্যা ধরলে তা অন্তত দ্বিগুণ হয়। তা সত্ত্বেও এত কম সাড়া কেন? প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, প্রথমত, বছর নষ্ট করে নয়া পদ্ধতিতে আসতে চাইছে না অনেকে। আবার নতুন পদ্ধতিতে পুরনো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তখন সংসদের আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে ডিক্লারেশন দিতে হবে। যদিও সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনেকে আর্টস নিয়ে পড়েছিল। তারা এখন চাইছে সায়েন্স নিয়ে পড়তে। সেই কথা মাথায় রেখেই বাড়তি বিকল্প দেওয়া হল।’