• অবশেষে ইস্কোর নতুন প্রকল্পকে পরিবেশ ছাড়পত্র
    এই সময় | ২২ মে ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: নতুন ইস্পাত প্রকল্প গড়ার পরিবেশ ছাড়পত্র পাচ্ছে বার্নপুরের ইস্কো কারখানা। আবেদনের প্রায় এক বছরের মাথায় এই ছাড়পত্র দিতে চলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    মঙ্গলবার বিকেলে এই খবর এসেছে ইস্কো কর্তৃপক্ষের কাছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। স্থায়ী ও অস্থায়ী পদে প্রায় ছ’হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে।

    বার্ষিক ২.৫ থেকে ৭.১ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত তৈরির ক্ষমতা সম্পন্ন এই নতুন প্রকল্প প্রায় ৯০০ একর জমির উপরে গড়ে তোলা হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি তৈরি হলে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানার মর্যাদা পাবে ইস্কো। পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ায় বর্ষার শেষে প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে বলে খবর।

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোলের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত বছরের ২০ অগস্ট বার্নপুরের ভারতীভবন প্রেক্ষাগৃহে নতুন প্রকল্প বিষয়ক একটি পরিবেশ সংক্রান্ত গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছিল।

    কারখানা লাগোয়া বসতিগুলির বাসিন্দাদের ওই শুনানিতে ডেকে তাঁদের মতামত গ্রহণ করা হয়। ইস্কো কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও জমা করে। উভয় পক্ষের মতামত লিপিবদ্ধ করে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    সুদীপ বলেন, ‘পর্ষদের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পরে পরিবেশ ছাড়পত্র অনুমোদন করা হয়েছে। অনুমোদনপত্রটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দিনকয়েকের মধ্যে পাঠানো হবে।’ ছাড়পত্রের চিঠি হাতে পাননি বলেই জানান ইস্কোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার। তবে তিনি বলেন, ‘ছাড়পত্র অনুমোদনের খবর এসেছে।’

    ইতিমধ্যে নতুন প্রকল্প গড়ার প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পাঁচটি কুলিং টাওয়ার ভেঙে জমি খালি করা হয়েছে। কারখানা লাগোয়া জবরদখল করে রাখা জমি খালি করা হচ্ছে। কারখানায় ঢোকা–বেরনোর জন্য নতুন উড়ালপুল বানানো হয়েছে।

    ঠিকাশ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইস্কোর এই নতুন প্রকল্প তৈরি হলে আসানসোলের অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে বলে দাবি করেছে বণিক সংগঠনগুলি। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় বিনিয়োগ এই রাজ্যে হয়নি বলে দাবি করেছে শিল্প মহল। খুশি কারখানার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও।

  • Link to this news (এই সময়)