• পহেলগামে কাজে গিয়ে ১২ দিন নিখোঁজ হরিশ্চন্দ্রপুরের যুবক
    এই সময় | ২২ মে ২০২৫
  • এই সময়, মালদা : ভারত-পাকিস্তানের চলতি তিক্ত সম্পর্কের মধ্যেই কাশ্মীরের পহেলগামে কাজ করতে যাওয়া মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিক রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় দুশ্চিন্তায় ঘুম ছুটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই শ্রমিকের পরিবার।

    ছেলেকে ফিরে পেতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, সাংসদ, পুলিশ –প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ১২ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা ওই যুবককে ফিরে পেতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন ও সাংসদ খগেন মুর্মু।

    নিখোঁজ ওই শ্রমিকের নাম আসফাক হক (১৯)। তাঁর বাড়ি চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটিওন গ্রামে। তিনি কাশ্মীরের পহেলগামেই কাজ করতে গিয়েছিলেন। ওই পহেলগামের বৈসরণেই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, পহেলগামে কখনও আপেলের বাগানে,কখনও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন আসফাক। ১২ দিন আগে ৯ মে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই শেষবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল মোবাইলে।

    এরপর আর আসফাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি পরিবারের। নিখোঁজ যুবকের মা রেহেনা বিবি বলেন, ‘একমাস আগে ছেলে কাজ করতে কাশ্মীরে গিয়েছিল। যখন যেখানে যেমন কাজ পেত, সেটাই করত। ভালো মজুরিও পাচ্ছিল। কিন্তু আচমকা জঙ্গি হামলা, তারপর ভারত–পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করেছিল।’

    তাঁর কথায় ‘ছেলে বলেছিল মা এখানে যুদ্ধ হচ্ছে। যে ভাবেই হোক মালদায় ফিরতে হবে। ওইদিন রাতেই শেষ কথা হয়েছিল। তারপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছি না।’ আসফাকের বাবা আকবর আলি বলেন, ‘ও ছিল বাড়ির বড়। সংসারের অভাব মেটাতে ছেলে কাশ্মীরে কাজে করছিল। এ ভাবে যে নিখোঁজ হয়ে যাবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। ওর মোবাইল বন্ধ।’

    উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘রাজ্যে কাজ নেই বলেই অল্পবয়সিরা জীবনে ঝুঁকি নিয়ে ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। ওই পরিবারটির সঙ্গে আমি কথা বলব। নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারের জন্য কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।’

    মন্ত্রী তাজমুলও বলেন, ‘নিখোঁজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। দ্রুত যাতে ছেলেটিকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’

  • Link to this news (এই সময়)