মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল হুগলির ষণ্ডেশ্বর মন্দির-সহ একাধিক এলাকা। বুধবারের ঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালেও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। যদিও রাত থেকেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চুঁচুড়ার ষণ্ডেশ্বর তলায় এ দিন বৈশাখী মেলা বসেছিল। সন্ধ্যার পর হঠাৎ হুগলির ষণ্ডেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ঝড় শুরু হয়। সেই ঝড় পাক খেয়ে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট উপড়ে দেয়। ঝড়ে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই মেলার দোকানপাট-সহ একাধিক বাড়িঘরও।
বাসিন্দারা জানান, এ দিন ঝড়ের আগে বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর হঠাৎ একটা পাক খাওয়া ঝড় সব উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে তার জড়িয়ে যায়। মন্দির সংলগ্ন অনেক গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। তবে ষণ্ডেশ্বর মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হলেও গাছের ডাল পড়ে একটি ছোটো মন্দিরের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই এই ঝড়কে টর্নেডো বলেই মনে করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই ঝড় ষণ্ডেশ্বর তলা পেরিয়ে শ্যামবাবুর শ্মশান ঘাটের দিকে চলে যায়। সেখানেও বিদ্যুৎ-এর খুঁটি উপড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে গাছ ভেঙে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন স্থানীয় দোকানদার বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বুধবার রাতেই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে ব্যান্ডেল বন মসজিদের পাশেও একটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে। সেখানে আটকে পড়া দুই মহিলাকে জানালা ভেঙে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘ঝড়ে শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। গাছ কেটে সরাতে সময় লাগবে। আমরা শুনেছি উত্তর চন্দননগর, খুশিগলি, শ্যামবাবুর ঘাটে একাধিক বাড়ি ও গাড়ির গাছ ভেঙে পড়েছে।’ সূত্রের খবর, বুধবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। তবে কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও বেশিরভাগ এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন রয়েছে।