• বয়সের ভার, ঘিরে ধরছিল একাকিত্ব, ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতির নিথর দেহ
    এই সময় | ২২ মে ২০২৫
  • ষাটোর্ধ্ব দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হলো ঘর থেকে। মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের কোটা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দম্পতিকে ঘিরে ধরছিল একাকিত্ব। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। কিন্তু প্রায় ১৫ বছর ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও সব সময় বাবা, মায়ের কাছে আসতে পারেন না। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। মৃত দম্পতির নাম সুশান্ত পাত্র (৬৮) এবং লতারানি পাত্র (৬২)।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। দরজায় বারবার ধাক্কা দিলেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এর পরই কাঠের দরজা ঠেলে বাড়িতে ঢোকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখেন বিছানার উপর পড়ে রয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দেহ। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়। খবর দেওয়া হয় ওই দম্পতির ছেলে মেয়েকেও।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শারীরিক অসুস্থতা ও একাকিত্বের কারণেই একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। গ্রামবাসীরা জানান, ছেলে-মেয়ে, সকলেই বিবাহিত। ১৫-১৬ বছর হয়ে গেল ছেলেদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।

    বড় ছেলে নান্টু পাত্র সপরিবারে কোটা গ্রামেই থাকেন বলে খবর। কৃষিকাজ করেন তিনি। ছোট ছেলে রবি পাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। সূত্রে খবর, গত ১৫-১৬ বছর আগেই দুই ছেলে ও মেয়েকে সমস্ত সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছিলেন সুশান্ত। সামান্য কিছু জমি হাতে রেখেছিলেন চাষের জন্য। পাশাপাশি সরকারি ভাতায় দিন চলত। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সবটা পরিষ্কার হবে।

  • Link to this news (এই সময়)