মাছির ‘আতঙ্কে’ মশারিবন্দী ৬টি গ্রাম! ১৫ জন ইতিমধ্যেই অসুস্থ হওয়ার দাবি
বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা: মশারি টাঙিয়ে চলছে খাওয়াদাওয়া, রান্নাবান্না! দিনের বেশির ভাগ সময়েই কাটছে মশারির মধ্যে! মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার ছটি গ্রাম। রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় ত্রস্ত বাসিন্দারা।তাঁদের অভিযোগ, মশারি না টাঙিয়ে রাখলে খাবারে পড়ছে মাছি, খেতে বসেও নিস্তার নেই। গত কিছুদিন ধরে এমনই পরিস্থিতির মুখোমুখি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ছ'টি গ্রাম।স্থানীয় সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে এই অঞ্চলে বেড়েই চলেছে মাছির উপদ্রব। ঘর-বাড়ি, রান্নাঘর, উঠোন— কোথাও স্বস্তি নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার একটি পোল্ট্রি ডিম উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে সমস্যার সূত্রপাত। ফার্মের আশপাশের গ্রামগুলো—বিশেষত সন্ন্যাসীকাটা, চাঁদেশ্বর, বাগানপাড়া সহ ছটি গ্রামে মাছির উপদ্রব সবচেয়ে বেশি।গ্রামবাসীর কথায়, “ফার্ম খোলার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে। অনেকবার জানানো হয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষকে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” অন্যদিকে, মাছির মাধ্যমে ছড়াতে পারে নানা ধরণের রোগ। সেই আশঙ্কাতেও ভুগছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই মাছি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।জলপাইগুড়ি পিডি উইমেন্স কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানবেন্দ্র মৈত্র বলেন, “মুসকা ডোমেস্টিকা মাছির এমন বেপরোয়া বৃদ্ধি, অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই মাছিগুলি যে কোনও সময় মহামারির কারণ হয়ে উঠতে পারে।” বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।