শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আইপিএস পরিচয় দিয়ে প্রেম, বিয়ে। ছ’মাসের মাথায় সন্দেহের জেরে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মিথ্যার পর্দাফাঁস! প্রতিবাদ করতেই বধূর উপর নৃশংস নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আইপিএসকে গ্রেপ্তার করে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ।
সোশাল মিডিয়ায় নিজেকে আইপিএস অফিসারের পরিচয় দিয়েছিল মালদহের বাসিন্দা হৃদয় দে। মালদহের বাসিন্দা। রায়গঞ্জের এক তরুণীর সঙ্গে মাস দুয়েকের পরিচয় থেকে প্রণয়। মন্দিরে গিয়ে বিয়েও হয়। বিয়ের পর তারা রায়গঞ্জ বীরনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া আসেন। মাস ছয়েকের মধ্যে স্বামীর কাজকর্ম ঘিরে সন্দেহ হয় নববধূর। মোহভঙ্গ হতেই স্বামীর সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডা বাঁধে। শেষে পর্দাফাঁস হয়। প্রতিবাদ করতেই বধূর উপর নৃশংস নির্যাতন নেমে আসে। জানা যায়, আইপিএস কিংবা কোনও সরকারি আধিকারিক নন হৃদয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আইপিএসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৪টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। তাঁর আরও দাবি, সারাদিন কোনও কাজে না গিয়ে বাড়িতেই থাকতেন ওই ব্যক্তি। বুধবার রাতে স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের আত্মীয়রা এসে বধূকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “ভুয়ো অফিসারকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, হৃদয় আইপিএস পরিচয় দিয়ে টাকাও তুলত।