সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বজবজের মহেশতলায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতপুরের ফুলবাগানে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বিশেষভাবে সক্ষম এক নাবালকের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দ্রুতগতিতে বালিবোঝাই লরি পিছন থেকে ধাক্কা দেয় সাইকেল আরোহী ওই নাবালককে। সে পড়ে গেলে মাথা থেঁতলে দেয় লরির চাকা। এমন দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘাতক লরিকে ধাওয়া করে চালক ও খালাসিকে পাকড়াও করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’জনেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল, তাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল! এর জেরে এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকলে পুলিশ ও র?্যাফ পৌঁছয়।চালক ও খালাসিকে আটক করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মহেশতলার পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর ফুলবাগানের বাসিন্দা বছর বারোর উজ্জ্বল মণ্ডল, ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্র। এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে পিছন থেকে একটি বালিবোঝাই লরি দ্রুতগতিতে এসে তাকে ধাক্কা দেয়। সাইকেল থেকে পড়ে যায় উজ্জ্বল। তারপর লরির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রের। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁর ঘাতক লরির পিছনে ধাওয়া করে গাড়িটি আটকায়। তারপর চলে ভাঙচুর। হাতেনাতে ধরা হয় মদ্যপ চালক ও খালাসিকে।
দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক জনরোষ আছড়ে পড়েছে, এই খবর পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পৌঁছয় র?্যাফ বাহিনীও। অভিযোগ, পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা। বাসিন্দাদের দাবি, অবাধে ভারী ট্রাকগুলি এই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়াভাবে দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল করছে। বহুবার স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবি করা সত্ত্বেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। তাঁদের আরও দাবি, ঘটনাস্থলে গাড়ির মালিককে আসতে হবে। দুর্ঘটনার দায় তাঁকে স্বীকার করতে হবে। পুলিশ ঘাতক লরির চালক ও খালাসিকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। এদিকে বিশেষভাবে সক্ষম উজ্জ্বলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়।