রবিবার ওই কিশোর বাজারে চিপস কিনতে বেরিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, যে দোকানে গিয়েছিল, সেখানে দোকান খোলা রেখে দোকানদার ছিলেন না। দোকানের বাইরে পড়ে থাকা একটি চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে নেয় সে। পয়সা ছিল তার কাছে। দোকানদারকে পরে এসে দেবে ভেবেছিল। এরপর বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় দোকানদারের সঙ্গে। দোকানের মালিক পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর দোকানের চিপস নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে ধাওয়া করে ওই কিশোরকে ধরে ফেলেন।
অভিযোগ, দোকানদার তাকে প্রকাশ্যে চুরির অপবাদ দেন। কান ধরে ওঠবস করান এবং মারধর করেন। কিশোরের বাবা-মায়ের দাবি, চিপসের দাম সেসময় পরিশোধও করেছিল সে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মা ছেলেকে শাসন করেন। এরপর তাকে বাড়ি নিয়ে যান।
কিন্তু চোর অপবাদ আর অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোর একটি সুইসাইড নোট লিখে বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় তমলুক মেডিক্যাল কলেজে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এমনকী দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতেও রাজি হননি তিনি। প্রশ্ন উঠছে, আইনের রক্ষক হয়ে কীভাবে নিজেই আইন হাতে তুলে নিলেন তিনি?