• আচমকা হড়পা বানে হাড়হিম কাণ্ড, নদীর জলে তলিয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টর, প্রাণপণে সাঁতরে বাঁচায় চেষ্টায় চালক-খালাসি!...
    আজকাল | ২৩ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাল নদীতে হঠাৎ আসা হড়পা বানে ভেসে গেল ট্রাক্টর। কোনোক্রমে প্রানে বাঁচলেন চালক ও খালাসি। পরে জল কমার পর ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়।

    গত কয়েকদিন ধরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকা-সহ কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকা ও ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই বৃষ্টির জলধারা লিস, ঘিস, চেল, মাল, ন্যাওরা, মূর্তি, জলঢাকা, ডায়না, কুজিডায়না ও অন্যান্য নদী দিয়ে নেমে আসে। পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ অতিভারী বৃষ্টিপাত হলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই নদীগুলির জলস্তর ও জলপ্রবাহ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। একেই হড়পা বান বলে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই রকম ঘটনা দেখা গেল মালবাজার শহরের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া মাল নদীতে। 

    জানা গিয়েছে সেচ দপ্তরের কাজের জন্য বিকেলে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় নদীতে একটি ট্রাক্টর নেমে ট্রলিতে করে পাথর বোঝাই করছিল। আচমকাই নদীর বুকে বেয়ে নেমে আসে প্রবল জলধারা। হড়পা বানের জলস্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায় ট্রলি-সহ ট্রাক্টর। কোনোক্রমে সাঁতরে প্রানে বাঁচেন চালক ও খালাসি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মাল থানার আইসি সৌম্যজিত মল্লিক-সহ পুলিশ কর্মীরা। পরে জল কমলে ট্রাক্টর'টি উদ্ধার করা হয়। 

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এই হড়পা বানে লিস নদীতে ভেসে গিয়েছিল একটি জেসিবি ও ট্রাক্টর। ২৯শে মে ২০২২, রবিবার নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগানের সহ সহকারি ম্যানেজার রূপক বিশ্বাস তাঁর বাড়িতে কলকাতা থেকে আগত আত্মীয়-স্বজন সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাগানের কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া গাঠিয়া নদীতে গিয়েছিলেন। নদীতে স্নান করার সময় হঠাৎ আসা হড়পা বান আটজনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ৬ জন প্রাণে বাঁচলেও, রূপক বাবুর স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যু হয়েছিল।

    ৫ই অক্টোবর ২০২২, বুধবার রাতে এই মাল নদীতেই প্রতিমা বিসর্জন চলাকালীন হঠাৎই হড়পা বান চলে আসে। সেই সময় নদীর মাঝে বহু মানুষ ছিলেন। হড়পা বানে  ভেসে গিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বর্ষার মরসুমে পাহাড়ি এই নদীগুলি যথেষ্ট বিপজ্জনক। মাল নদী ছাড়াও এই এলাকার সমস্ত নদীতেই বিভিন্ন সময় হড়পা বান আসার ঘটনা ঘটেছে।
  • Link to this news (আজকাল)