দিগন্ত মান্না
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে ‘চোর’ সন্দেহে মারধরের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সেই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল পাঁশকুড়ার একটি নির্দিষ্ট এলাকা। অভিযুক্ত দোকানদার সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজও করেন। এ দিন অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত ছাত্রের দেহ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। র্যাফও নামানো হয়। জানা গিয়েছে, মহিলা-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ দিন রাত ৯টা নাগাদ মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে পৌঁছন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তিন প্যাকেট চিপসের জন্য ছাত্রটিকে চোর অপবাদ দিয়ে অপমান করেন দোকানের মালিক তথা সিভিক ভলান্টিয়ার। ছাত্রটিকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে দুষে বলেন, ‘ছাত্রটিকে চোর অপবাদ দিয়ে অপমান করা হয়েছিল। হাসপাতালে ছাত্রটির খোঁজ নিতেও অভিযুক্ত যাননি। সাধারণ মানুষ তো উত্তেজিত হবেনই।’ এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে তমলুকের অতিরক্ত পুলিশ সুপার নিখিল অগ্রবালের নেতৃত্বাধীন বিরাট পুলিশ বাহিনী।