অজানা কারণে হঠাৎ ফাঁকা ডিএম অফিস, ভরদুপুরে কোচবিহার শহরে তোলপাড়
বর্তমান | ২৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই ডিএম অফিস ফাঁকা করে দেওয়া হয়। দপ্তরের সমস্ত আধিকারিক, কর্মচারী বেরিয়ে যান। কার নির্দেশ? কোথা থেকে এল নির্দেশ? ভরদুপুরে কোচবিহার শহরে এ নিয়ে তোলপাড় হয়। প্রশাসনও খোলসা করে কিছু বলতে চায়নি। ফলে সবটা নিয়েই রাত পর্যন্ত থাকে ধোঁয়াশা।
দুপুর তখন ২টো। ভরা কাজের দিনে আচমকা এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে অফিসপাড়ায়। ডিএম অফিসের সমস্ত কর্মী, আধিকারিক তড়িঘড়ি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান। গোটা অফিস মুহূর্তের মধ্যে খালি হয়ে যায়। অন্যদিন অতিরিক্ত জেলাশাসকদের গাড়ি ডিএম অফিসের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ানো থাকে। কিন্তু এদিন আড়াইটে নাগাদ অফিসের সামনের অংশ খাঁ খাঁ করছিল। একতলা, দোতলার সব রুম, অফিসারদের চেম্বারের দরজা খোলা, কিন্তু চেয়ার খালি। আলো জ্বলছিল। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল কিছুক্ষণ আগেও টেবিলে ফাইপত্র নিয়ে কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ কোনও অদৃশ্য মন্ত্রবলে সব ফাঁকা হয়ে গিয়েছে! ঠিক কী কারণে এমন ভাবে জেলাশাসকের অফিস খালি হয়ে গেল তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিএম অফিসের ঠিক পাশেই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিকরাও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁরাও অফিস ছেড়ে একেএকে চলে যান। তাঁদের কাছেও জবাব পাওয়া যায়নি কেন তাঁরা অফিস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। জেলাশাসকের দপ্তরে ঢোকার মুখে এক পুলিস কর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
পরে কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল ডিএম অফিস সংলগ্ন সাগরদিঘির পড়ে আসেন। তিনিও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। ফলে পুরো বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জেলাশাসক, পুলিস সুপার সহ প্রশাসনিক আধিকারিককে দুপুরে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। যদিও বিকেলে ডিএম অরবিন্দকুমার মিনা ফোন করে জানান, প্রশাসনিক নির্দেশ মতো অফিস ফাঁকা করা হয়েছে। বাকিটা পরে বলা হবে। রাতে ডিএম’কে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠানো হলেও উত্তর আসেনি। স্বভাবতই কী কারণে ডিএম অফিস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হল, তার কারণ রাত পর্যন্ত অজানাই থেকে গেল। ফাঁকা ডিএম অফিস। - নিজস্ব চিত্র।