সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: বোরোর ঠিকানায় হাতির হানা। আতঙ্কে নকশালবাড়ির চাষিরা। বাধ্য হয়ে কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে তাঁদের। গত বুধবার এই দৃশ্য দেখা গেল নকশালবাড়ির ঢাকনাজোতে।
এদিন ভোরে নেপাল সীমান্তের ওই এলাকায় হানা দেয় ২০টি হাতির একটি দল। এতে কয়েকবিঘা জমির ধান পদপিষ্ট করে। এজন্য আর ঝুঁকি নিতে চান না চাষিরা। সপরিবারে কাঁচা ধান বোঝাই করে টোটোয় নিয়ে যান বিশ্বনাথ রায়। তিনি বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। যা সপ্তাহখানেক জমিতে থাকলেই পেকে যেত। তবে এদিন সকালে প্রায় ২০টি হাতির দলটি হানা দিয়েছে। এজন্য ঝুঁকি নিতে চাই না। যতটুকু সোনালি রঙের ছায়া পড়েছে। সেটাই ঘরে তুলে নিচ্ছি। একই সুরে কথা বলেন অপরএক চাষি নিরেন বর্মন। এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। তিনিও ধান ঘরে তুলবেন বলে জানিয়েছেন।
দিন দুয়েক ধরে প্রায় হাতির দল সীমান্তের কলাবাড়ি বনাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। যা নকশালবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে হানা দিচ্ছে। এদিন সকালে সীমান্তের নিহালজোত এলাকায় ৯টি হাতির দল হানা দেয়। যা সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় কার্শিয়াং ডিভিশনের বিভিন্ন রেঞ্জের বনকর্মীদের। টুকরিয়াঝারের রেঞ্জার সুরজ মুখিয়া বলেন, ওই এলাকায় ১২টি হাতির দল হানা দিয়েছিল। তবে কোনও ক্ষতি করেনি। হাতির দলটি আমার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় প্রবেশ করলেও টুকরিয়াঝার বনাঞ্চলে একটি মাত্র হাতি রয়েছে। এদিন ওই হাতির দলটি সীমান্তের সামাজিক বনসৃজনে আটকে যায়। বনকর্মীরা হাতিটিকে কলাবাড়ি বনাঞ্চলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
পানিঘাটার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, রেঞ্জের এক্তিয়ারভুক্ত কলাবাড়ি বনাঞ্চলে প্রায় ২০ হাতির দল জমায়েত হয়েছে। তা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে হানা দিচ্ছে। আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। নিজস্ব চিত্র।