শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু দমনে চার দিনের প্রশিক্ষণ শিবির করবে মহকুমা পরিষদ
বর্তমান | ২৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাঝেমধ্যেই হচ্ছে বৃষ্টি। তাতে মাঠ, খাল, বিলে জমছে জল। তাতে আঁতুরঘর গড়তে পারে ডেঙ্গুর বাহক মশা। এমন আশঙ্কা করে ডেঙ্গু দমনে ব্লকভিত্তিক কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। পাশাপাশি, তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বর্ষার আগে নির্মীয়মাণ রাস্তা ও নিকাশি-নালার কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে। শিলিগুড়িতে গরমের দাপট নেই। প্রতিদিনই এক পশলা করে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৮৩ মিলিমিটার। এই অবস্থায় মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছে মহকুমা পরিষদ। তাই এদিন তারা বৈঠকে করে চারটি কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর মোকাবিলায় মহকুমার চারটি ব্লকের সুপারভাইজার, ভেক্টর সার্ভিলেন্স টিম (ভিএসটি) ও ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের (ভিসিটি) মোট ৬৪৮ জন রয়েছেন। ডেঙ্গু দমনে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিবির চলবে। চারটি ব্লকে একদিন করে শিবির হবে। আধিকারিকররা বলেন, মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমছে। তাতেই তৈরি হতে পারে মাশর আঁতুরঘর। নিকাশি-নালা, ডোবা এবং রাস্তা ও বাড়ির আশপাশের জঞ্জাল নিয়মিত সাফাই করে সেইসব আঁতুরঘর ধ্বংস করাই প্রধান লক্ষ্য। তা হলেই গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে চার দিনের ওই শিবির হবে। তাতে সুপারভাইজার, ভিএসটি ও ভিসিটিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, গত বর্ষার মরশুমের পারফরমেন্স রিপোর্টের ভিত্তিতে সেরা গ্রাম পঞ্চায়েত, সেরা সুপারভাইজার, সেরা ভিসিটি এবং ভিএসটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তবে এবার এখন পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম রয়েছে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বর্ষার আগে নির্মীয়মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো এদিন মহকুমা পরিষদে নির্মীয়মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভাধিপতি বলেন, দুই থেকে তিনটি রাস্তার কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সেগুলি বর্ষার আগেই শেষ করা হবে। বর্ষায় নতুন করে কোনও কাজে হাত দেওয়া হবে না। সেই সময় বৃক্ষরোপণ করা হবে। গত বছর ২০০টি গাছ লাগানো হয়েছিল। এবার ৪০০টি গাছ লাগানো হবে। দু’দিনের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় খোলা হবে কন্ট্রোল রুম।