• ঝাড়গ্রামে ট্রাভেল ব্লগার, ইউটিউবার, ডিজিটাল ক্রিয়েটরদের কাজে নজরদারি
    বর্তমান | ২৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিস ইউটিউবার ও ট্রাভেল ব্লগারদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। কোনওসংবেদনশীল তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক ইউটিউবারকে দেশের তথ্য পাচারে অভিযোগে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। জেলার পুলিস এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে।ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, সমাজ মাধ্যমে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইউটিউবার ও ট্রাভেল ব্লগারদের ভিডিও পোস্টের উপর বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। সংবেদনশীল তথ্য ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি যাতে পোস্ট না করা হয় তা নিয়ে সচেতন করা হবে। সমাজ মাধ্যমে ট্রাভেল ব্লগার ও ইউটিউবারদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বেড়ানো, হোটেল, রিসর্ট, বিভিন্ন পর্যটনস্থলের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে।নেটিজেনদের কাছে যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিষয়বস্তুর আকর্ষণ বাড়াতে  বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ না জেনেই এলাকার বিভিন্ন স্থানের ছবি পোস্ট করছেন। পুলিস প্রশাসনের কাছে যা বিপদের কারণে হয়ে হয়ে উঠেছে।জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে পহেলগাঁও ঘটনার আগে ঝাড়গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলার একাধিক ট্রাভেল ব্লগার ও ইউটিউবার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা একাধিক ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেইসব ভিডিও ছবি দেশ বিরোধী শক্তির হাতেপড়ার সম্ভবনা রয়েছে।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের ছবি অনায়াসে ছড়িয়ে পড়ছে।পুলিস, প্রশাসন,মিলিটারি ক্যাম্পের মতো জায়গাও বাদ যাচ্ছেনা। ঝাড়গ্রাম একসময় মাওবাদীদের প্রভাব ছিল।  বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের তরফে ঝাড়গ্রামকে মাওবাদী মুক্ত এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার ভিতর এখনও বেশকিছু সিআরপিএফ ক্যাম্প রয়েছে। জেলা পুলিসের তরফে সতর্ক নজরদারি রয়েছে।ঝাড়গ্রাম জেলার এক ট্রাভেল ব্লগার বলেন, অনেকেই এই কাজকে পেশা করেছেন।প্রতিযোগিতা বাড়ায় ফলোয়ার বাড়তে নানা তথ্য তুলে ধরছেন। ভ্রমণ স্থানের ছবি পোস্ট করতে গিয়ে রাস্তাঘাট,এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। পুলিস, প্রশাসনও সেনাবাহিনীর থাকার জায়গাও তুলে ধরা হচ্ছে। এই পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা সন্দেহের আওতায় আসছেন। বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্ট একটা নির্দেশিকা দরকার।না হলে আমাদের মতো পেশার লোকেরা হেনস্তার শিকার হবেন। জেলা পুলিস প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইউটিউবার ও ট্রাভেল ব্লগাররা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে স্থান বা  কোনও একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেন।যা বহু মানুষের নজরে আসে। সংবেদনশীল অনেক তথ্য দেশ বিরোধীদের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। বিষয়টি নিয়ে জেলার সকলস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)