• জল জমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে শুরু হল নিকাশি সংস্কার, স্বস্তি পানিহাটিতে
    বর্তমান | ২৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বছরে প্রায় আট মাস জলবন্দি অবস্থায় থাকে পানিহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা। গুরুত্বপূর্ণ বিটি রোডের সার্ভিস রোড পর্যন্ত জলের তলায় চলে যায়। এমনকি গ্রীষ্মেও কয়েক দিন পরপর বৃষ্টি হলে জল জমে যায় বহু জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে ড্রেন সাফ করতে সক্রিয় হয়েছে কেএমডিএ এবং পানিহাটি পুরসভা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার দাবি, কাজ সম্পূর্ণ হলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। বহু এলাকা জল জমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির দিক থেকে বিটি রোড ধরে পানিহাটির দিকে এগলে বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থার ছবি সবার চোখে পড়ে। ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানার সামনে থেকে সোদপুর পর্যন্ত বারাকপুরগামী লেনের সার্ভিস রোড প্রায় সারাবছর জলের তলায় ডুবে থাকে। বিটি রোডের দু’দিকের ড্রেন প্রায় পাঁচ বছর সংস্কার করা হয়নি। ফলে যাবতীয় নোংরা ও আবর্জনা জমে ড্রেন কার্যত অবরুদ্ধ। ওই ড্রেনের সঙ্গে শহরের দুই থেকে আট এবং ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক নিকাশি নালা যুক্ত। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা উপচে পড়ে নোংরা জলে। বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। ড্রেন পরিষ্কারের জন্য কেএমডিএ প্রায় এক কোটি আট লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৫৬ টাকা বরাদ্দ করেছে। সোমবার থেকে কাজ শুরু হবে। গির্জা মোড় আমবাগান থেকে কামারহাটি সিইএসসি অফিস পর্যন্ত বিটি রোডের দু’দিকের ড্রেন পরিষ্কারের কাজও শুরু হবে। 

    অন্যদিকে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের দু’দিকের ড্রেনও বহু দিন সংস্কার হয়নি। এমনিতেই রাস্তার দু’দিকের জায়গা নিচু। তার উপর ড্রেন আবর্জনায় ভরে থাকায় জল বের হওয়ার পথ অবরুদ্ধ। সামান্য বর্ষা হলেই অমরাবতী, এসবি টাউন, তীর্থভারতী, শ্যামাশ্রী পল্লি সহ ঘোলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কিছু জায়গায় রাস্তার উপর এক হাঁটু বা কোমর সমান জল দাঁড়ায়। বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। টানা আট মাস পর্যন্ত কিছু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। 

    এই পরিস্থিতিতে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের দু’দিকে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। কাঁচকল মোড়ের সোদপুর ফ্লাইওভার থেকে মুড়াগাছা পর্যন্ত কাজ হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলেন, ‘বর্ষার আগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ড্রেন সংস্কার করা আবশ্যক। তা না হলে শহরে আগের থেকেও জলযন্ত্রণা বাড়বে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে কেএমডিএ ও পুরসভা বিভিন্ন ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শহরের জল পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)