• ২৮ মে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে , বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা কম
    বর্তমান | ২৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। পরবর্তী দুই দিনে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে। তবে তীব্রতা বৃদ্ধি করে এটি শক্তিশালী নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না বা সেটি বঙ্গোপসাগর উপকূলের কোন দিকে যাবে, সেব্যাপারে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে রাতের দিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। 

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপটির গতিপ্রকৃতি কয়েকদিন পর পরিষ্কার হলে জানানো হবে। আপাতত আগামী ২৮ মে বুধবার দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তার আগেও বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে। 

    গোয়া-কোঙ্কন উপকূল সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে ইতিমধ্যে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেটির প্রভাবে গোয়া-কোঙ্কন ছাড়াও কর্ণাটকের উপকূল এলাকায় বৃষ্টিপাত বেড়ে গিয়েছে। এই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হতে চলেছে। তারপরও শক্তি বৃদ্ধি হলেও এটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করেন।

    বর্ষা আসার আগে মে মাসে বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মে মাসের শেষ দিকে সাম্প্রতিক অতীতে অনেকগুলি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দু’টি সমুদ্রেই তৈরি হয়েছে। উপকূলে আছড়ে পড়ে সেই ঘূর্ণিঝড়গুলি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি প্রথমে তৈরি হবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে তা ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলের দিকে চলে আসে। কখনও সখনও মায়ানমারের দিকেও যায় ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পর সেটি সমুদ্রের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এবার কী হতে চলেছে, তার উত্তর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেওয়া যাবে। 

    এদিকে নিয়মিত ঝড়বৃষ্টির জন্য এবার পয়লা মার্চ মাস থেকে মে মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত রাজ্যে স্বাভাবিকের থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি আছে। গোটা রাজ্যের নিরিখে স্বাভাবিকের থেকে ৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে নদীয়া ও হুগলি এবং উত্তরবঙ্গে কালিম্পং ছাড়া কোনও জেলাতেই বৃষ্টির ঘাটতি নেই । সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব বর্ধমান (৩১৮ মিমি) ও বাঁকুড়া (৩২৭ মিমি) জেলাতে। কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৫ মিমি।
  • Link to this news (বর্তমান)