বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০ জন করে আন্দোলনকারী ‘রোটেশনাল’ পদ্ধতিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। কোথায় অবস্থানে বসবেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা, সেটাও স্পষ্ট করে দেয় আদালত। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে ১০ জনের ফোন নম্বর পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যে সব চাকরিহারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চললেও এখনই কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
হাইকোর্ট এ দিন জানিয়েছে, সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুলের দিকে অর্থাৎ, বিকাশ ভবনের উল্টোদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবস্থান করতে পারবেন। আন্দোলনকারীদের জন্য রাজ্যকে একটা অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করতে হবে। আন্দোলনকারীদের জন্য পুরসভার জল আর বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
১৫ মে-র অশান্তি নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দিনের অভিযোগে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের একাংশকে চিহ্নিত করে শো-কজ় করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। শিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ নেয় পর্ষদ।
বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ২২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৯ জন সাধারণ মানুষ। ওই এলাকায় তো শুধু বিকাশ ভবন নয়, অনেক সরকারি দপ্তর রয়েছে। সেই সব অফিসের কর্মীদের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে।
অন্যদিকে চাকরিহারাদের তরফে জানানো হয়েছিল, এই আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। লাঠিচার্জের কারণে একাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষকদের একাংশ। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।