এক মাস পর বাড়ি ফিরছেন জওয়ান পূর্ণম সাউ। পাকিস্তান সেনার হাতে বন্দি হওয়ার পর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে চলে গিয়েছিল গোটা পরিবার। ১৪ মে ভারতের মাটিতে পা রাখেন পূর্ণম। আজ বাড়ি ফেরার পালা। ঘরের ছেলে ফিরে আসার আগে উৎবসের আয়োজন বাড়িতে। রান্না হচ্ছে পূর্ণমর প্রিয় খাবার। কেক কেটে সেলিব্রেশনের অপেক্ষা রয়েছেন সকলে।
বেজায় খুশি পূর্ণমের স্ত্রী রজনী। সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পাঠানকোট আর্মি বেস ক্যাম্প গিয়েও হত্তা দিয়েছিলেন। কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। আজ মুখে হাসি ফোটার দিন। বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে এতদিন পর বাড়ি ফিরছে। কিন্তু ওর কাছে ফোন না থাকায় কথা বলতে পারিনি।’
রান্নাবান্নার কী আয়োজন? রজনী বলেন, ‘ওঁর প্রিয় লুচি, তরকারি রান্না হয়েছে। দই মিষ্টি আনা হয়েছে। কেক কাটা হবে। আজ একাদশী তাই কোনও আমিষ রান্না হবে না। রবিবার মাংস করে খাওয়াবো।’
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গিদের গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ২৬ জন পর্যটক। ঠিক পরের দিন পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভারত-পাক সীমান্তে ডিউটি করার সময় অসাবধানতাবশত পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাউ। একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন তিনি।
অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। পূর্নমের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়তে থাকে। ফ্ল্যাগ মিটিং বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। অবশেষে সংঘর্ষবিরতির পর পূর্ণমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয় পাকিস্তান। ওই দেশে পূর্ণমের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পূর্ণম। বাড়িতে ফিরে এ বার বিশ্রাম নেওয়ার পালা। স্ত্রী-ছেলে, গোটা পরিবারকে নিয়ে ভালো সময় কাটানোর অপেক্ষায় সকলেই।