• টাকা পাঠাও, নইলে কপালে দুঃখ আছে, জেলে বসেই ফোনে হুমকি মুর্শিদাবাদের এই নেতার, তদন্তে রাজ্য পুলিশ...
    আজকাল | ২৩ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বেআইনিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত বহুতালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আব্দুল শেখের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন জেল সুপার। 

    জানা গিয়েছে, জেলবন্দি আব্দুল শেখের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ কারেকশনাল সার্ভিস আইন ১৯৯২, ৮১ (এ)(৩) ধারা এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি আব্দুল শেখের কাছ থেকে একটি কিপ্যাড যুক্ত ছোট মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। আব্দুলের থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধারের পরই জেল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য সেলে সরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তার ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত ২০১৮ -২১ সাল পর্যন্ত সুতির বহুতালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে ছিলেন আব্দুল শেখ।  ২০২১ সালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা অনাস্থা ডেকে তাকে সরিয়ে দেয়। 

    আব্দুল নিজের পদে থাকাকালীন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য সুতি ১ ব্লকের বিডিও বছরখানেক আগে তার বিরুদ্ধে সুতি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।  মাস কয়েক আগে সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আব্দুল-সহ ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সচিব এবং আরও এক প্রাক্তন মহিলা প্রধান  বর্তমানে জেলবন্দি  রয়েছেন । 

    সূত্রের খবর, আব্দুল পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন কান্দুয়া এলাকায় 'মেদের নালা' নামে একটি ছোট নদী দখল করে সেখানে নিজের ব্যক্তিগত রিসর্ট তৈরির কাজ শুরু করেন। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওই এলাকায় কয়েকশো বিঘা সরকারি খাস জমি দখল করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি করে নেওয়া  এবং নদীর জল অবরুদ্ধ করে সেখানে মাছ চাষ করার মতো একাধিক বেআইনি কাজের অভিযোগ রয়েছে। 

    অভিযোগ, এই সমস্ত বেআইনি কাজ করতে গিয়ে আব্দুল পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছিলেন।  

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি আব্দুল শেখ নামে ঐ ব্যক্তি ওয়াহিদা খাতুন এবং রিজু শেখ নামে দু'জন ব্যক্তির সঙ্গে প্রত্যেকদিন বেশ কয়েকবার করে ফোনে কথা বলতেন। 

    প্রসঙ্গত, আব্দুলের স্ত্রী ওয়াহিদা খাতুন বর্তমানে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদে আসীন রয়েছেন। সূত্রের খবর, আব্দুল জেলে বসে ফোন করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে  টাকা আদায় করছিলেন। আব্দুলের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন , জেলে বসে আব্দুল পঞ্চায়েতের কোন প্রকল্পের কাজে কে টেন্ডার পাবে , কোথায় কোন প্রকল্পের কাজ হবে সে বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই একাধিক নির্দেশ দিতেন।
  • Link to this news (আজকাল)