• চুরি সে সত্যি করেনি, ভিডিও ফুটেজে উঠে এল সত্যিটা, পাঁশকুড়ার বালকের দোষ ছিল না মোটে...
    আজকাল | ২৩ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামান্য চিপস চুরির মিথ্যে অপবাদ! আর তার জন্য এক কিশোরকে এমন হেনস্থা করা হল, যে সে বাধ্য হয় চরম পদক্ষেপ করতে! মর্মান্তিক এই ঘটনা এ রাজ্যেরই৷ চুরির অপবাদে কানধরে ওঠবস করানোর পাশাপাশি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ৷ ছোট হলেও বিনা দোষে এমন অপমান মেনে নিতে পারেনি ফুটফুটে প্রাণ৷ 

    সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রের প্রতিটি দাবি যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য সেটি ফুটে উঠল দোকানের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরাতে। সেখান থেকেই দেখা গেল দোকানের সামনে এসে সে খানিক দোকানিকে খুঁজতে থাকে। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেট নিয়ে চলে যায়। এমনকি পরে তাকে যে মায়ের শাসনের সামনে পড়তে হয়েছে সেই ছবিও ফুটে ওঠে ক্যামেরাতে। 

    এ যেন জলের মতোই সত্য একটি ছবি যা নাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারে। তার করা প্রতিটি দাবি যেন আজ চরম সত্যি হয়ে ধরা দিল ক্যামেরার স্মৃতিতে। তবে চরম সত্য সামনে আসার আগেই নিজের জীবন দিয়ে সে শাস্তি দিয়ে গেল গোটা সমাজকে। এই সমাজের ভিত্তিহীন শাসনকে। 

    চিপস চুরির অপবাদে তাকে মারধর ও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে দোকানের মালিক ওরফে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে৷ ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জগন্নাথ দাস বলেন, "আমার ছেলেকে সামান্য চিপস চুরির অপবাদ দিয়েছিল ৷ সেই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে আমার ছেলেটা চলে গেল ৷"

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনা প্রাথমিকভাবে শুনে তার মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে শাসন করে এবং বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এই চোর অপবাদ সহ্য করতে না পেরে চাষের জন্য বাড়িতে থাকা কীটনাশক খায় নাবালক ৷ তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি তমলুক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি । বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্য হয় তাঁর। তবে তার দাবি আজ চরম সত্য হয়ে সকলের সামনে উঠে এসেছে। শুধু নেই সে নিজে। 

    ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায় । দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এবিষয়ে পাঁশকুড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, মৃতের পরিবারের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছি।
  • Link to this news (আজকাল)