সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন এক তরুণী। দালাল মারফত এদেশের ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করা হয়েছিল। তারপর তিনি চলে যান মুম্বইতে। ফের বাংলাদেশ ফেরার আগে পুলিশের হাতে তাঁকে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলার সীমান্ত এলাকায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সীমান্ত এলাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তিনি ভারতে এসেছিলেন? জঙ্গি বা নাশকতামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কি তাঁর যোগাযোগ আছে? সেসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানতলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক তরুণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। টহলদারি পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা যায়। সঙ্গে থাকা কাগজপত্র খতিয়ে বোঝা যায়, সেগুলি জাল। এরপরই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। জেরায় শেষপর্যন্ত ওই তরুণী স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশি। দালালের মাধ্যমে তিনি এদেশে এসেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে এরপর উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেশ কয়েক মাস আগে ওই তরুণী বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসেন। দালালের মাধ্যমে প্রথমে নদিয়াতেই তিনি ছিলেন। এদেশে থাকার জন্য নকল পরিচয়পত্র তৈরি করানো হয়। এরপর সেই ভুয়ো কাগজপত্র নিয়ে ওই তরুণী মুম্বই গিয়েছিলেন। সেখানেই কাজ করছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করার জন্য ধরপাকড় চলছে। সেই পরিস্থিতিতে তিনি বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। গতকাল সীমান্ত পেরনোর আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। ধৃত কতটা সত্য কথা বলছেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একা একজন তরুণী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসবেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে। তাঁর সঙ্গে কি কোনও দুষ্কৃতীদের যোগসাজস আছে? সেইসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতকে আজ শুক্রবার রানাঘাট আদালতে তোলা হয়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জেরা করতে চায় পুলিশ। নদিয়ার সীমান্ত এলাকাতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলছে। চারশোর বেশি অনুপ্রবেশকারী এখনও গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির সীমান্ত এলাকাতেও এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়।