ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির আবহে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের জন্য কেন্দ্রকে চাপ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীমান্ত সংঘাত ও দুই দেশের মধ্যে চলমান অশান্তি নিয়ে দেশের নাগরিকদের সর্বাগ্রে জানার অধিকার রয়েছে। সেই কারণে সংসদে বিশেষ অধিবেশন প্রয়োজন বলে শুক্রবার দাবি করেন মমতা।
অপারেশন সিঁদুর এবং পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস নিয়ে গোটা বিশ্বকে বার্তা দিতে সব দলের সাংসদ ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে তৈরি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ২টি দল রওনা হয়েছে। এই বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য হওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নির্বাচিত করেছিলেন মমতা। তবে, প্রতিনিধি দলের বিশ্ব ভ্রমণের পর গোটা বিষয়টি সংসদে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।
মমতা এ দিন X হ্যান্ডলে লেখেন, ‘প্রতিনিধি দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পর সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করার জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি সাম্প্রতিক সংঘাত এবং গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার ব্যাপারে অন্য কারও আগে আমাদের এই দেশের জনগণের অধিকার রয়েছে।’
পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতর কথায়, ‘আমি বারবার বলেছি, জাতীয় স্বার্থে এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কেন্দ্রের যে কোনও পদক্ষেপে পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ তবে, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতিতে বাণিজ্য বন্ধ, সিন্ধু জলচুক্তি রদ-সহ একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তগুলির ভবিষ্যৎ কী? কোন পরিস্থিতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হল ভারত? দুই দেশের সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার ভূমিকা কী? এরকম নানা প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার স্বার্থেই কংগ্রেসের সুরেই সুর মেলালেন মমতা বলেই ধারণা রাজনৈতক মহলে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি।