সুজয় মুখোপাধ্যায়, বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়
পাকিস্তানে কাটাতে হয়েছিল ২০ দিনের বেশি সময়। বার বার বুক কেঁপে উঠেছিল পরিবারের। বাড়ি ফিরে হুগলির রিষড়ার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ ‘এই সময় অনলাইন’ -কে জানালেন, দেশের সেবার জন্য যখনই ডাকা হবে, তিনি তখনই ছুটে যাবেন।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গিদের গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ২৬ জন পর্যটক। ঠিক তার পরের দিনে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভারত-পাক সীমান্তে ডিউটি করার সময়ে অসাবধানতাবশত পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাউ। গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন তিনি। এর পর তাঁর মুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় কূটনৈতিক স্তরে। অবশেষে গত ১৪ মে পূর্ণম সাউকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। আটারি ওয়াগা বর্ডার দিয়ে দেশে ফেরানো হয় তাঁকে।
শুক্রবার তিনি হুগলিতে নিজের বাড়িতে ফেরেন। এ দিন ‘এই সময় অনলাইন’-এর মুখোমুখি হয়ে এই বিএসএফ জওয়ান বলেন, ‘দেশে ফিরতে পারব ভাবিনি। সকলের ভালোবাসায় ফিরে এসেছি। আমাদের দেশের জন্য লড়াই করতে শেখানো হয়। যখনই আমাকে দেশের সেবার জন্য ডাকা হবে, আমি যাব।’
এ দিন মা দেবন্তি দেবীকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন পূর্ণম। এ দিকে পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালীন উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল পূর্ণমের স্ত্রী রজনীর। স্বামীকে সামনে দেখে কিছু সময়ের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পূর্ণমের কিনে দেওয়া শাড়িতেই নিজেকে সাজিয়েছিলেন। স্বামীকে সামনে পেয়েই আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তবে পাকিস্তানের তাঁকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এই বিএসএফ জওয়ান।