খেলতে গিয়ে বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া। সেই ১০ বছরের বন্ধুকে মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ১২ বছরের এক নাবালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ মহকুমার বাগদায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে তাকে পাঠানো হয়েছে হোমে।
ঘটনাটি বাগদা থানার কুইলিয়া গ্রামের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই গ্রামের তিন নাবালক একসঙ্গে খেলছিল। এই তিনজনের মধ্যে এক নাবালক সময় মতো বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। দুপুরে স্থানীয় একটি পুকুরে ভেসে ওঠে তার দেহ। স্থানীয়রা দেহ উদ্ধার করে খবর দেয় পুলিশে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, পা পিছলে পুকুরে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের ওই শিশুটির। কিন্তু তার মাথা, পিঠ এবং গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন থাকায় সন্দেহ হয় পুলিশের। পরিবারের তরফে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খেলার সময়ে ঝগড়া করে ১০ বছরের বন্ধুকে মারধর করে ১২ বছরের নাবালক। সেই সময়েই তাকে পুকুরেও ফেলে দেয় সে। সাঁতার না জানার ফলে তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই ওই ১২ বছরের নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃত নাবালককে বিধাননগরের জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হলে বিচারক তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।