আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে বাড়ি ফিরলেন পাকিস্তানের হাতে বন্দি থাকা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। শুক্রবার পূর্বা এক্সপ্রেসে হাওড়ায় ফিরেছেন তিনি। এদিন হাওড়ার নিউ কমপ্লেক্সে তাঁকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়। উঠল জয়ধ্বনি। মালা পরিয়ে দেশের এই 'বীর'কে সম্বর্ধনা জানালেন বঙ্গবাসী। ট্রেন থেকে নামার পর পূর্ণমকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন তাঁর বাবা।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আটকের পর প্রায় এক মাস পর বাড়ি ফিরলেন পূর্ণম। এদিন নিউ কমপ্লেক্সের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিকেল ৪টে ৪৮মিনিট নাগাদ ঢোকে পূর্বা এক্সপ্রেসে। তাঁর ফেরার খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় ততক্ষণে গোটা প্ল্যাটফর্ম জুড়ে তৈরি হয়েছে ভিড়। আরপিএফ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশ ও রেল পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা। পূর্ণমকে সম্বর্ধনা দেন তাঁরা। প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরাও এগিয়ে আসেন পূর্ণমকে দেখতে। উপস্থিত অনেকেই নিয়ে এসেছিলেন জাতীয় পতাকা ও ফুলের মালা। যা দিয়ে পূর্ণমকে শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।
স্টেশনে এদিন ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে পূর্ণম হুগলির রিষড়ায় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া স্টেশন থেকে হুগলির বাড়ি পর্যন্ত পূর্ণমকে গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া হবে। গত ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানে আটক অবস্থায় ছিলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। আটক হওয়ার ২২ দিনের মাথায় ভারতে ফেরেন তিনি। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন রিষড়ার বিএসএফ জওয়ান।
পাঞ্জাবের পাঠানকোটের ফিরোজপুরে কর্মরত ছিলেন পূর্ণম। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হানার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল ভুল করে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিলেন পূর্ণম। সেখানে ঢুকে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই পাকিস্তানের রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে ফেলে। তখন থেকেই পাকিস্তানে তিনি বন্দি ছিলেন। বিএসএফের চেষ্টা সত্ত্বেও মুক্তি পাননি। ১০ মে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পরিবারের আশা ছিল, সম্ভবত শীঘ্রই পূর্ণম মুক্তি পাবেন। যুদ্ধবিরতির চারদিন পর অবশেষে দেশে ফেরেন তিনি।