খুন করে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দোষী, আরপিএফ কনস্টেবলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত...
আজকাল | ২৪ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২০ সালের একটি চাঞ্চল্যকর খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরপিএফ কনস্টেবল সুকান্ত সাহু। শুক্রবার হাওড়া দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সোমেশ প্রসাদ সিনহা এই খুনের মামলায় অভিযুক্তকে হত্যা (আইপিসি ৩০২) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের জেল এবং প্রমাণ লোপাটের (আইপিসি ২০১) জন্য ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন।
মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৩ জুন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ, হাওড়ার বাসিন্দা গুননিধি সাহু নামে এক বৃদ্ধ দোষী আরপিএফ কনস্টেবল সুকান্ত সাহুর সঙ্গে তার বাইকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। এই ঘটনার পরদিন সকালে দেখা যায় গুননিধির খাবার তাঁর বাড়িতেই না খাওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমনকি, বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা মারা। এলাকাবাসীরা জানতেন, গুননিধি সুকান্তের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। এমনকি, তাদের একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
সুকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে পুলিশকে জানায়, গুননিধিকে শালিমার কালিমন্দিরের কাছে নামিয়ে দিয়েছিল সে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরে গুননিধির ছেলে ওড়িশা থেকে এসে খোঁজ শুরু করে। নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর শালিমারের কালিমন্দির সংলগ্ন একটি হাইড্রেন থেকে মাথাকাটা অবস্থায় পচাগলা এক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শনাক্ত করতে সাহায্য করে মৃতদেহের পোশাক, চটি, গামছা ও একটি পরিচয়পত্র। সেখানেই পাওয়া যায় সুকান্ত সাহুর আধার কার্ড। এরপর ওই বৃদ্ধের ছেলে শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা চলাকালীন ২৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বিচার করে বৃহস্পতিবার আদালত সুকান্ত সাহুকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং শুক্রবার তাকে চূড়ান্ত সাজা শোনানো হয়।