আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক লাফে মোট ১৯৮টি ওষুধ গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল। একই সঙ্গে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ফেল ২৫টি ওষুধ। মূলত গুণগত মানের পরীক্ষায় ফেল করলো এতগুলি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও ইঞ্জেকশন। সেই ওষুধগুলির নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ, এবং রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। এর মধ্যে কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পরীক্ষায় অকৃতকার্ষ ৩৩টি ওষুধ।
দেশজুড়ে এই যে ওষুধের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষা, এটা প্রতিমাসে হয়। গত এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব। এই ওষুধগুলি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রিপোর্ট সামনে এনেছে সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি (CDSCO) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগস কন্ট্রোল।
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোনও ইনজেকশনের ভায়ালে ভাসছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। কোনওটি আবার পরিশোধিত জল দিয়ে তৈরি হয়নি। কোনও ওষুধ আবার শরীরে দ্রবীভূত হচ্ছে না। কোনওটা আবার নামী সংস্থার নাম জাল করে বানানো। এরকম নানাবিধি কারণের জন্য ১৯৮টি ওষুধকে Not Standard Quality বলে ঘোষণা করেছে, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ (Central Drugs Standard Control Organisation)।
ওষুধগুলির নামের তালিকা রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এরমধ্যে রয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহৃত ইনজেকশন, স্নায়ুর রোগে ব্যবহৃত ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিসের ইনজেকশন, যক্ষ্মার ওষুধ ইত্যাদি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সংস্থাগুলির ওষুধ পরীক্ষায় ফেল করেছে, তাদের মধ্যে ৫৫টি হিমাচল প্রদেশের, ৪৮টি উত্তরাখণ্ডের, ২৬টি গুজরাতের, ১৮টি মধ্যপ্রদেশের ও ১০টি তামিলনাড়ুর সংস্থা।