এবার বীরভূমের সিউড়ি থেকেও দিঘাগামী বাস ছাড়ার উদ্যোগ নিল প্রশাসন। এসবিএসটিসির উদ্যোগে দিঘাগামী এই বাস ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। শুক্রবার উদ্বোধনের সময় একেবারে নীল সাদা বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল এই বাস। সেই বাসে চেপে সোজা যাওয়া যাবে দিঘাতে। ভাড়া একেবারে সাধ্য়ের মধ্যে। ফলে বীরভূম জেলার মানুষের একসঙ্গে দিঘা সমুদ্র স্নান এবং জগন্নাথ ধাম দর্শনের সুযোগ তৈরি হয়ে গেল।
এই খবরে খুশি বীরভূমের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষের কাছে এটা একটা বড় সুখবর। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী যেমন দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির উপহার দিয়েছেন, তেমনি সেই জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে এই বাস ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। সিউড়িবাসী যেন জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পারেন। আমরা সবাই এবার দিঘা যেতে পারব।
জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে এই বাস ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। এরপর দিঘা থেকে সাড়ে ৯টার পরে রওনা হবে। একটা বাস যাবে। আর অপর একটি বাস আসবে। এই পরিষেবার পাশাপাশি রামনগর থেকে কলকাতাগামী যে বাস পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল, সেটাও আবার চালু হল।
যদিও প্রায় ২০ বছর আগে সিউড়ি থেকে দিঘাগামী বাস চালু ছিল। কিন্তু মাঝপথে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বীরভূমবাসীও চাইছিলেন ফের সিউড়ি থেকে দিঘার জন্য় যেন সরাসরি বাস চালু হয়। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পরে সেই চাহিদা আরও বেড়েছে বীরভূমবাসীর কাছে। দিঘাকে ঘিরে জেলাবাসীর মনে নতুন করে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। কারণ এখন কেবলমাত্র আর সমুদ্র স্নান নয়, সেইসঙ্গে অনেকেই দিঘাতে যাচ্ছেন মন্দির দর্শনের জন্য। আর সেই সুবিধার জন্য এবার চালু হল সিউড়ি-দিঘা বাস পরিষেবা।
এ বিষয়ে এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় জগন্নাথধাম তৈরি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ রোজ সেখানে যাচ্ছেন। দিঘার এখন একটা অন্যদিক খুলে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ থেকে দিঘাগামী বাস ছাড়ার কথা বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। বর্তমানে কালনা দিঘা, বর্ধমান দিঘা, আসানসোল দিঘা, দুর্গাপুর দিঘা, তারাপীঠ দিঘা, বহরমপুর দিঘা, কলকাতা দিঘা, বেলঘরিয়া দিঘা চলছে, করিমপুর দিঘা চলবে। এবার সিউড়ি থেকে দিঘা দুটো বাস। সকাল সাড়ে ৬টায় এটা সিউড়ি থেকে ছাড়বে। আবার ৯টা ৫০-এ এটা দিঘা থেকে আসবে। মাত্র ২৭৭ টাকা ভাড়া। সিউড়ি থেকে শিলিগুড়ি বাস চালানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।