• লটারিতে হরিশ্চন্দ্রপুরের অন্ধ ভিক্ষুক হলেন কোটিপতি
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: রাতারাতি ঘুরল ভাগ্যের চাকা। ১৫০ টাকার লটারির টিকিট কেটে অন্ধ ভিক্ষুক হলেন কোটিপতি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোডাঙ্গা গ্রামের বয়স ৬৫’র ভিক্ষুক শুকদেব দাস। তিনি অন্ধ। স্বামী-স্ত্রী ভিক্ষা করে কোনওক্রমে দু’মুঠো ভাত জোগাড় করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে ১৫০ টাকায় লটারির টিকিট কাটেন। দুপুরে খেলার ফলাফল ঘোষণা হতেই জানতে পারেন সর্বোচ্চ পুরস্কার এক কোটি তিনিই জিতেছেন। এতে খুশি পরিবার পরিজন। নিরাপত্তার জন্য তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসের হেফাজতে রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,টালির ছাউনি দেওয়া জরাজীর্ণ কাচা ঘরে বসবাস করেন ভিক্ষুক দম্পতি। তাঁদের দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। শুকদেববাবু নিয়মিত লটারির টিকিট কাটেন। এনিয়ে সংসারে অশান্তি হতো। ওই দিন সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে তিনি ১৫০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তাতেই ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। সুকদেবের স্ত্রী উসানী দাস বলেন, স্বামীর দু’চোখে অন্ধ। বাস্তুভিটা ছাড়া এক ছটাক জমি নেই। স্বামী ট্রেনে ভিক্ষা করেন। আমি গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করি। বয়সের ভারে হাঁটতে পারেন না। দুই ছেলে থাকলেও তারা বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। তারা দিনমজুর। 

    ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন। এখন আর শেষ বয়সে ভিক্ষা করে খেতে হবে না। সুকদেববাবু বলেন, আট বছর বয়স থেকে আমার দু’চোখে আলো নিভে গিয়েছে। টিকিট বিক্রেতার উপর ভরসা করে টিকিট কাটতাম। এই টাকায় দুই ছেলের জন্য কিছু জমি কিনব। বাড়িটাও ঠিকঠাক করব। বাকিটা সংসারের কাজে ব্যয় করব। ভগবান দিয়েছেন, আর ভিক্ষা করব না।  শুকদেব দাস।- নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)