• রানিতলায় লোকসভা নির্বাচনের দিন খুনের অভিযোগে ছ’জনের যাবজ্জীবন
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের দিন খুন হয়েছিলেন রানিতলা থানার বালিগ্রাম সরকারপাড়ার টিয়ারুল শেখ। তাঁকে খুনের দায়ে ছ’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত লালু শেখ, বিয়ারুল শেখ, মাসু শেখ, কামারুল শেখ, তাহজুল শেখ ও আবু হেনারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শুক্রবার লালবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক জিতেন্দ্র গুপ্তা তাদের সাজা ঘোষণা করেন। তাদের যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি ৩০হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাসের নির্দেশ দেন। 

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত সহ একাধিক বিষয়ে টিয়ারুলের সঙ্গে প্রতিবেশীদের বিবাদ চলছিল। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট ছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট নিয়ে সকাল থেকেই ওই বুথে চাপা উত্তেজনা ছিল। দুপুর দেড়টা নাগাদ ছেলে মাহাতাব শেখকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে সরকারপাড়া প্রাইমারি স্কুলের বুথে ভোট দিতে যান টিয়ারুল। ভোট দিয়ে বেরনোর পর স্কুল চত্বরেই টিয়ারুলকে ঘিরে ধরে লালু শেখ ও তার দলবল। প্রথমে টিয়ারুলকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর লালু হাঁসুয়া দিয়ে টিয়ারুলকে এলোপাথাড়ি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মাহাতাবও জখম হন। স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিস টিয়ারুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নশিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখান থেকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে টিয়ারুলের মৃত্যু হয়। টিয়ারুলের পরিবার লালু, বিয়ারুল, মাসু, কামরুল, তাহজুল ও আবু হেনার বিরুদ্ধে রানিতলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস নির্দিষ্ট ধারায় খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্ত ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে লালু ছাড়া বাকিরা জামিনে ছাড়া পায়। সরকারি আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, মামলায় ১৯জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)