• শালবনীতে মেধাবী লাবণীর পাশে জেলা পুলিস
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: বাবা সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। সংসারে অভাব রয়েছে। তার মধ্যেই মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করেছে শালবনী থানার পিড়াকাটার বহড়াবনী গ্রামের বাসিন্দা লাবণী মাহাত। কিন্তু আগামী দিনে তার পড়াশোনার খরচ নিয়ে পরিবার চিন্তায় পড়েছিল। সেই সমস্যার সমাধান করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিস। ইতিমধ্যেই জেলার পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকারের নির্দেশে তার পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। জেলা পুলিসের আধিকারিকরা লাবণীর পড়াশোনার খরচ চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

    ধৃতিমানবাবু বলেন, ছাত্রীটি খুবই মেধাবী। এরাই দেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের তরফে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।

    মাধ্যমিকে পিড়াকাটা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবণীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭। সে বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৮২, অঙ্কে ৯৬, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৩, জীবনবিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৬ ও ভূগোলে ৯১নম্বর পেয়েছে। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় লাবণী। সে বলল, আগামী দিনে পড়াশোনার খরচ কীভাবে চালাব, বুঝতে পারছিলাম না। পুলিস সাহেবরা পাশে দাঁড়ানোয় অনেক সুবিধা হবে। আমাকেও আরও পরিশ্রম করে আগামী দিনে আরও ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

    লাবণীর বাবা কিনু মাহাত পিড়াকাটা ফাঁড়ির সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর স্ত্রী রীনা মাহাত গৃহিণী। দুই মেয়ের মধ্যে লাবণীই বড়। একচিলতে মাটির বাড়িতে অভাবকে সঙ্গী করেই তাঁদের সংসার। ক্লাসে বরাবর দ্বিতীয় হতো লাবণী। পড়াশোনা ছাড়াও সে আবৃত্তি করতে ভালোবাসে। স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বও পালন করত। কিনু মাহাত বলেন, পড়াশোনার প্রতি মেয়ের খুবই আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু ওর পড়াশোনা কীভাবে চালাব বুঝতে পারছিলাম না। পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিস সুপার ও জেলা পুলিসকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  লাবণী মাহাত।
  • Link to this news (বর্তমান)