নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রাম থানার সাতেঙ্গাবাড়িতে এক দোকানদারের মাথায় আঘাত করে ও গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মৃতের নাম আশিস গুড়িয়া (৪৫)। বাড়ি সাতেঙ্গাবাড়ি গ্রামেই। রাত ১১টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে রাস্তার মধ্যে খুন করা হয়। রাতে অনুষ্ঠান দেখে ফেরার সময় পথ চলতি মানুষজন রাস্তার ধারে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই মোটর বাইক পড়েছিল। রাতেই থানা থেকে পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। খুনের ঘটনায় ভেটুরিয়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।জানা গিয়েছে, সাতেঙ্গাবাড়িতে আশিসের একটি চা, পান, সিগারেটের দোকান আছে। সেখানেও মদও বিক্রি হতো। যদিও মদ বিক্রির লাইসেন্স ছিল না। সেই মদের দোকানে প্রায়ই আসত খুনে অভিযুক্ত যুবক। সব সময় তার কাছে টাকা থাকত না। কয়েকদিন আগে একটি আংটি দোকানে বন্ধক রেখে মদ খেয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবক ওই আংটি সোনার বলে দাবি করেছিল। বৃহস্পতিবার আশিস গুড়িয়া ওই আংটি নিয়ে একটি সোনার দোকানে যান। সেটি যাচাই করে জানতে পারেন, সোনার নয়।নকল আংটি বন্ধক রেখে দোকান থেকে মদ খাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করেন আশিস। অবিলম্বে বকেয়া শোধ করার চাপ দেন। এনিয়ে ভেটুরিয়ার ওই যুবকের সঙ্গে আশিসের বিস্তর ঝামেলা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা নাগাদ আশিস অভিযুক্ত যুবককে ফোন করে নিজের দোকানে ডেকে পাঠান। আংটি নিয়ে অশান্তি হওয়ার বিষয়টি আশিসের বাড়ির লোকজনও জেনেছিলেন। রাতে দোকানে এনিয়ে দু’জনের মধ্যে আরও একদফায় ঝামেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপরই প্রতিশোধ নিতে আশিসকে খুনের পরিকল্পনা করে ওই যুবক। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে মোটর বাইকে চড়ে বাড়ি যাওয়ার সময়ই তাঁর উপর হামলা হয়। মাথায় ভারী জিনিস নিয়ে আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত নলি কেটে দেয়।মৃত আশিসের বাবা অমলেন্দু গুড়িয়া বলেন, ছেলের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাইছি। নন্দীগ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।