নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভুয়ো কাগজপত্র দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি জোগাড় করে দিব্য কলকাতায় থাকছিল এক বাংলাদেশি যুবক। নাম সেলিম মাতব্বর। গত বছরের নভেম্বর মাসে পার্ক স্ট্রিট থেকে ধরা পড়ে ওই যুবক। তার কাছ থেকে মিলেছিল ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাসপোর্টও। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (জেএম) দেবারতি দে এই মামলায় অনুপ্রবেশ ও জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সেলিমকে ১৩ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করেন। পাশাপাশি বিচারক একাধিক ধারায় পৃথক সাজার কথা শুনিয়েছেন ওই অপরাধীকে। আদালতের মন্তব্য, সব সাজাই একসঙ্গে চলবে।
সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং শুক্রবার জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসে পার্ক স্ট্রিট থানার রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড থেকে পুলিস বাংলাদেশি যুবক সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা পুলিস সেখানেই হোটেলের একটি ঘর থেকে তার ব্যাগ ও বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে। পাওয়া যায় তার বাংলাদেশি পাসপোর্টও। পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত জানায়, দালাল মারফত সে বিভিন্ন ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছিল। পরে ওই পাসপোর্ট দেখিয়ে ধাপে ধাপে আধার কার্ড সহ একাধিক নথি নিজের নামে করে নেয়।
এই মামলায় পুলিস তদন্ত শেষ করে ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করে। চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার বিচার। সাক্ষ্য দেন সাতজন। বিচার চলাকালীন ওই বাংলাদেশি কোনও কোনও জোরালো বক্তব্য পেশ করতে পারেনি। শেষমেশ বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন।