• ১৬টি ‘ভাড়ার অ্যাকাউন্টে’ লেনদেন বাগুইআটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ধৃত ৫
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ‘মিউল অ্যাকাউন্ট’ বা ভাড়ার অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল বাগুইআটি থানার পুলিস। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, এই ধরনের প্রায় ১৬টি অ্যাকাউন্ট খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার কলকাতা পুলিসের অধীনে কর্মরত ছিলেন। ওই চক্রে আর কে কে যুক্ত রয়েছে, মোট কতগুলি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, কত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে—সেসব জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত সিভিকের ছ’দিনের পুলিস হেফাজত হয়েছে। 

    জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে এক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল। ১৬টি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করেছিল তারা। কারণ, যে লেনদেন হয়েছিল, তা স্বাভাবিক মনে হয়নি তাদের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বাগুইআটি থানার পুলিস। বোঝা যায়, এগুলি সবই ‘মিউল অ্যাকাউন্ট’। গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে বা না জানিয়ে তাঁদের তথ্য কাজে লাগিয়ে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। একটি চক্র সক্রিয়। সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে হাতানো বিপুল টাকা সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ লেনদেন হয় ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে। বেআইনি লেনদেনের জন্য এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলি প্রতারকরা ভাড়াও নেয়। তাই এইগুলিকে ভাড়ার অ্যাকাউন্ট বলা হয়।

    তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, এই চক্রের অন্যতম পান্ডা ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। দু’দিন আগে ভাড়ার অ্যাকাউন্ট খোলানোর জন্য তিনি সল্টলেকের একটি ব্যাঙ্কে তিনজন গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সময় পুলিসের কাছে খবর চলে যায়। বাগুইআটি থানার পুলিসের একটি টিম সল্টলেকে হানা দেয়। তারপর হাতেনাতে তাঁকে এবং তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, জেরায় ওই সিভিক এই চক্রে যুক্ত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মোটা টাকার কমিশনও পেতেন তিনি। সেই টাকা আবার এই ধরনের অ্যাকাউন্টেই জমা করতেন, যাতে কেউ টের না পায়। এক পুলিস অফিসার বলেন, ‘এই চক্রে আরও বড় মাথা রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)