• কাউন্সিলারের মৃত্যুর পিছনে পাওনাদারদের চাপ? জল্পনা
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিণঘাটা পুরসভার মোহনপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে তৃণমূল কাউন্সিলার রাকেশ পাড়ুইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি হরিণঘাটার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন। শুক্রবার তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃতের বাবা বিশ্বনাথ পাড়ুইয়ের দাবি, ধার দেনা ছিল ছেলের। দু’দিন আগেও তিনি দেড় লক্ষ টাকা দেন ছেলেকে। বাড়িতে পাওনাদাররা এসে চাপ দিত। এমনকী রাকেশের মাকেও কথা শুনিয়ে গিয়েছে পাওনাদারেরা। তবে সেই কারণেই মৃত্যু কি না, সে সম্পর্কে ধোঁয়াশা রয়েছে পরিবারের মধ্যে। অসমর্থিত সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন দুপুরেও কয়েকজন দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পরই সম্ভবত এই ঘটনা ঘটিয়েছে রাকেশ। বৃহস্পতিবার বাড়ির কাছেই পার্টি অফিসের ভিতর যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। কাউন্সিলারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে চাকদহের বিজেপি বিধায়ক তথা হরিণঘাটার বাসিন্দা বঙ্কিম ঘোষ বলেন, রাকেশ আমার পাড়ায় থাকত। অল্প বয়সে রাজনীতি করা ছেলের এভাবে মৃত্যু বেদনাদায়ক। তবে শুনেছি, মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর টাকা তুলেছিল। অন্যদিকে, হরিণঘাটা শহর তৃণমূলের সভাপতি উত্তম সাহা বলেন, বিজেপির কাজ এই সব বলা। রাকেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। কখনও ধারদেনার বিষয়ে আমায় কিছু জানায়নি। মনের দিক থেকে শক্ত ছিল। কেন এই ঘটনা আমরাও বুঝতে পারছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)