• বিমানবন্দরের আশপাশে লেজার লাইট, ড্রোনের ব্যবহার বন্ধেও কড়াকড়ি
    বর্তমান | ২৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যাত্রী সুরক্ষা এবং বিমান চলাচল সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করল প্রশাসন। বিশেষ করে লেজার লাইট ও ড্রোনের গতিবিধি বন্ধ করার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালাবে পুলিস-প্রশাসন। তাছাড়া, কলকাতা বিমানবন্দরের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ যেন না থাকে, সে বিষয়ে পুরসভাগুলিকে তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা প্রভাতরঞ্জন বেউরিয়া। এছাড়া পুলিস, পুরসভা, জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন বৈঠকে। ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিমান সংস্থা, সিআইএসএফের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন। কীভাবে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়, কী কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিমানবন্দরের আশপাশে লেজার শো এবং ড্রোনের ব্যবহার বন্ধ করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। কারণ, ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছে, পুজো-উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে লেজার লাইট ও ড্রোনের ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বিমান চালানোর সময় পাইলটদের সমস্যা হয়। তাই লেজার লাইট ও ড্রোনের গতিবিধি বন্ধ করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। 

    সেই সঙ্গে আসন্ন বর্ষায় বিমানবন্দর চত্বরে কোথাও যাতে জল না জমে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। মাছ, মাংসের দোকান সহ স্থানীয় বাজারে যেন ময়লা জমে না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ সক্রিয় হতে বলা হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে। বিমানবন্দর সংলগ্ন অংশে বেশ কিছু লম্বা গাছ রয়েছে। এগুলি অনেক সময় বিমান পরিষেবায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এই গাছগুলি কীভাবে কাটছাঁট করা যায়, সেই দায়িত্ব বর্তেছে স্থানীয় পুরসভার উপর। তাছাড়া, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমান চলাচল যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে একটি এজেন্সি নিয়োগ করা হয়েছে। পুরসভাগুলিকেও বলা হয়েছে, বাজার বা আশপাশে ময়লা জমে থাকলে কিছু পাখির সংখ্যা বাড়ে। তাই বিমানবন্দর চত্বর সাফসুতরো রাখতেই হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)