এই সময়: খেলাটা ঘুরিয়ে দিতে পারত জলীয় বাষ্পে ভরপুর দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তিন দিনের মধ্যে ওই বাতাস কেরালায় ঢুকে পড়বে বলেই আশা করছে মৌসম ভবন। কিন্তু কেরালায় ঢুকলেও আরব সাগরের বেশির ভাগ এলাকাই ওই বাতাসের আওতার বাইরে থেকে যাবে।
আর তারই সুযোগে দেশের পশ্চিমে ঘনিয়ে উঠতে চলেছে একটি অতি গভীর নিম্নচাপ। ওই নিম্নচাপের আরও শক্তিবৃদ্ধি এবং তার ফলে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দেশের পশ্চিম উপকূলের একাধিক রাজ্যে ‘লাল সতর্কতা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
২৮ মে পশ্চিম–মধ্য বঙ্গোপসাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। সেই নিম্নচাপ শেষ পর্যন্ত কতটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে, সেটা পুরোটাই অবশ্য নির্ভর করছে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতির উপরে। তাই পূর্ব প্রান্তেও সমুদ্রে কড়া নজর রাখছেন আবহবিদরা।
বঙ্গোপসাগরে ২৭ মে নাগাদ যে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে, তার প্রভাবে ২৮ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেকটা এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছেন আবহবিদরা।
তবে ওই নিম্নচাপ তৈরির আগেও রাজ্যের অনেকটা এলাকায় জারি থাকবে ঝড়–বৃষ্টির আবহ। পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড হয়ে যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছিল, তারই প্রভাবে জোরালো বাতাস এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হয়ে চলেছে রাজ্যে।
শুক্রবার বিকেলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়–বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বাংলার, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের, বর্তমান আবহাওয়াগত অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘এখনকার পরিস্থিতি খুব কম সময়ে অনেকটা বৃষ্টি অর্থাৎ মাইক্রোবার্স্টের জন্যে আদর্শ। নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে এখন বাংলার বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তাই এক বার বৃষ্টি শুরু হলে তার তীব্রতা খুব বেশিই হবে।’