আচমকা বাড়ির পাশে দিল্লি পুলিশের রেড। তাতেই নড়ল টনক। এতদিন ঘুণাক্ষরেও কেউ বুঝতেই পারেননি যে পাড়ায় লুকিয়ে এমন অপরাধী। বিহারের ‘জামতারা গ্যাং’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বাংলাতেই নিয়েছিল আশ্রয়। সেখান থেকে চলছিল প্রতারণা। পুলিশের তৎপরতায় ফাঁদে জামতারা গ্যাং-এর তিন পান্ডা। নিউ দিল্লির সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্ট সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ বর্ধমান থানার সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করল তিন পান্ডাকে
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বর্ধমানের আলমগঞ্জের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে রবি মণ্ডল, রমেশকুমার মণ্ডল ও মহেন্দ্র কুমার মণ্ডল নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখা। তিন জনেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ধৃতরা জামতারা গ্যাং-এর কার্মাটাঁড় মন্ডল মডিউলের মূল চক্রী বলে দাবি পুলিশের। এতদিন কাক-পক্ষীতেও টের পায়নি যে পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে এমন অপরাধীরা। শুক্রবার তা সামনে আসতেই ছড়াল চাঞ্চল্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,নিউ দিল্লির সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্ট সাইবার ক্রাইম থানায় গত ১২ মে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়ে, যার এফআইআর নাম্বার ২৭/২৫। জল বোর্ডের কর্মীর পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির থেকে ৩৮ হাজার ১৬১ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।
মামলার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের এসআই অমিত কুমার-এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি দল কলকাতায় আসে এবং প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে নিউ টাউন এলাকায় অভিযান চালান তাঁরা। কিন্তু, সেখানে কিছু না পেলেও পরে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার সহযোগিতায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বর্ধমান শহর সংলগ্ন শরিফনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ টি ল্যাপটপ, ৮ টি মোবাইল, ২৬ টি সিমকার্ড, ১ টি স্কলার ডিভাইস ও নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮(৪) ও ৩১৯(২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ড-এর আবেদন জানিয়ে শুক্রবার বর্ধমান আদালতের পেশ করে দিল্লি পুলিশ।