শুধু ছাড় দেখলেই চলবে না, ওষুধ কেনার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতেই হবে
প্রতিদিন | ২৪ মে ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: অতিরিক্ত ছাড়কে অগ্রাধিকার নয়। পাইকারি বিক্রেতাকে ওষুধ কেনার সময় দেখতে হবে যথার্থ জায়গা থেকে ওষুধ আসছে কি না। কারখানা থেকে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেন যে সিএফএ বা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট। তাঁর ওষুধ পৌঁছে দেওয়ায় তার অভিজ্ঞতা কতদিনের। মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রিতে পুরনো নাম, না কি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ব্যবসা। জাল এবং খারাপ গুণমানের ওষুধ আটকাতে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। নয়া নির্দেশিকায়, পাইকারি বিক্রেতাদের প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ, ওষুধ তৈরি থেকে দোকানে পৌঁছনো পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে ‘চেন’ মেনটেন হচ্ছে কি না তা নজর রাখতে হবে পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের। পাইকারি বিক্রেতাদের প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ যাদের কাছ থেকে ওষুধ কিনছেন তাদের লাইসেন্স খতিয়ে দেখে নিন।
কোথায় দেখা যাবে তা? অনলাইন লাইসেন্স পোর্টালে দেশের তথা প্রতিটি রাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্সের বিবরণ রয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “রাজ্যের বাইরের কোনও ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে ওষুধ কেনার সময়ও তাদের লাইসেন্স যাচাই করে নিন। দেখুন তা রাতারাতি তৈরি হয়নি তো।” খুচরো বিক্রেতাদের প্রতি নির্দেশ, “রাজ্যের বাইরের কোনও পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে ওষুধ কেনার পর টাকা দেওয়ার সময় দেখে নিন, অ্যাকাউন্ট নম্বরের পাশে যে নাম রয়েছে তা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে মিলছে কি না। জিএসটি নম্বর আছে কি না।”
দেখা গিয়েছে, গুণমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ অনেক ওষুধ সংস্থার আদৌ কোনও জিএসটি নম্বর নেই। ইতিমধ্যেই একাধিক ওষুধকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। যা গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। ব্যাচ নম্বর-সহ তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলি যাতে কোনওভাবেই বেচাকেনা না হয় তা নিয়ে সতর্ক রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিডিউল এইচ২ তে যে ৩০০ এনএসকিউ বা নট স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগের নাম রয়েছে সেগুলি কেনার সময় কিউআরকোড যাচাই করে দেখতে হবে। গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ এমন ওষুধ কোনওভাবেই কেনা-কাটা না করা হয়। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের নয়া নির্দেশিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পৃথ্বী বোস। তাঁর কথায়, আমরাও এটাই বলতে চাই। অনলাইনে বিপুল ছাড়ের লোভ দেখে ওষুধ কিনে ফেলবেন না। যথাযথ সোর্স মারফত ওষুধ কিনুন। ওষুধ কেনার সময় দেখে নিন নির্মাণকারী সংস্থা কতদিন ধরে ব্যবসা করছে। সংস্থা জাল নয়তো!